Advertisement
E-Paper

এ বার আইআইএম জোকা! তরুণীকে বেহুঁশ করে ‘ধর্ষণ’ বয়েজ় হস্টেলে, দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াকে গ্রেফতার করল পুলিশ

কলকাতার আইআইএম জোকায় বয়েজ় হস্টেলে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৫ ০৯:২৬
কলকাতার আইআইএম জোকায় ছাত্রীকে বেহুঁশ করে ধর্ষণের অভিযোগ।

কলকাতার আইআইএম জোকায় ছাত্রীকে বেহুঁশ করে ধর্ষণের অভিযোগ। —ফাইল চিত্র।

কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট ক্যালকাটা (আইআইএম জোকা নামে সমধিক পরিচিত)-র বয়েজ় হস্টেলে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান আইআইএম জোকার ম্যানেজমেন্টের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। সম্প্রতি কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। তার পর কলকাতার আরও এক নামী প্রতিষ্ঠানে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল।

অভিযোগ, কাউন্সেলিংয়ের নাম করে নির্যাতিতাকে বয়েজ় হস্টেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে কিছু খাবার এবং পানীয় দেওয়া হয়। সেগুলি খাওয়ার পরেই আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন তিনি। জ্ঞান ফিরলে তিনি দেখেন বয়েজ় হস্টেলে পড়ে রয়েছেন। নির্যাতিতার অভিযোগ, বেহুঁশ করে ধর্ষণ করা হয়েছে তাঁকে।

শুক্রবার প্রথমে ঠাকুরপুকুর থানায় নির্যাতিতা অভিযোগ দায়ের করতে যান। সেখানে পুলিশ তাঁকে হরিদেবপুর থানায় যেতে বলে। কারণ, আইআইএম জোকা ওই থানার অন্তর্গত। পুলিশের সহায়তাতেই শুক্রবার হরিদেবপুর খানায় গিয়ে অভিযুক্ত পড়ুয়ার নামে অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে পুলিশ। তার পর গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতা অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, কাউন্সেলিং সেশনের নাম করে তাঁকে বয়েজ় হস্টেলে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে ঢোকার পর তাঁকে ‘ভিজ়িটর্স বুকেও’ সই করতে দেওয়া হয়নি। তার পর তাঁকে পিৎজ়া আর জল খেতে দেওয়া হয়। অভিযোগ, সেই খাবার কিছু মেশানো ছিল। খাবার খেয়েই জ্ঞান হারান নির্যাতিতা। তিনি আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে তাঁকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত। ধর্ষণে বাধা দিলে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।

সম্প্রতি কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে আইনের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। ঘটনাটি ঘটে গত ২৫ জুন। তবে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে গত ২৭ জুন। কলেজের ইউনিয়ন রুমে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিতা। পরে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় রক্ষীর ঘরে নিয়ে গিয়ে। রক্ষীকে সেই সময়ে বাইরে বসিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় প্রথমে তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জন, যাঁকে ‘এম’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, তিনি কলেজের প্রাক্তনী। বাকি দু’জন (‘জে’ এবং ‘পি’ হিসাবে চিহ্নিত) এখনও কলেজে পড়াশোনা করছিলেন। ঘটনার দিন দায়িত্বে থাকা কলেজের রক্ষীকেও পরে গ্রেফতার করা হয়। সিটের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগও ধর্ষণকাণ্ডের তদন্ত করছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইএম জোকায়।

(ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির ঘটনায় যত ক্ষণ না অভিযুক্তকে আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে, তত ক্ষণ তাঁর নাম-পরিচয় প্রকাশে আইনি বাধা থাকে। সেই কারণে আনন্দবাজার ডট কম আরজি কর এবং কসবার ঘটনার মতোই আইআইএম জোকার ক্ষেত্রেও ধর্ষণে অভিযুক্তের নাম এবং ছবি প্রকাশে বিরত থাকছে)

IIM Joka Rape Kasba Rape Case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy