বেআইনি বাজি কারখানার গতিবিধি সম্পর্কে সরকারকে জানালে সংশ্লিষ্টকে পুরস্কার দেওয়ার কথা বিবেচনায় রাখছে প্রশাসন। প্রতীকী ছবি।
বেআইনি বাজি কারখানার হদিস কেউ দিলে তাঁকে পুরস্কার দেওয়া হবে, এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষমহল।
শুক্রবার সব জেলা-কর্তাদের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানে বিধিসম্মত বাজি কারখানা তৈরি এবং অবৈধ বাজি কারখানা নিয়ন্ত্রণের জোড়া বার্তাও দিয়েছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, এ দিন নবান্নের বার্তা, জমি সন্ধান করতে হবে জেলা-কর্তাদের। সেখানে বিধিসম্মত ভাবে বাজি কারখানা গড়ায় ছাড়পত্র দেবে রাজ্য। এ ক্ষেত্রে একাধিক বেসরকারি সংস্থাও বিনিয়োগে রাজি বলে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি।
নবান্ন জানিয়ে দিয়েছে, বাজি কারখানাগুলির কাছে দমকল এবং বিস্ফোরক লাইসেন্স থাকতেই হবে। সঙ্গে থাকতে হবে ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর শংসাপত্র। বাজি মজুতকেন্দ্রেরও লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে। লাগবে পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্রও। পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, নতুন বহু বাজি কারখানা জেলায় জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে। সেগুলিকে একত্র করে সুনির্দিষ্ট বিধির আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেই কারণে তার পরেও বেআইনি বাজি কারখানার গতিবিধি সম্পর্কে সরকারকে জানালে সংশ্লিষ্টকে পুরস্কার দেওয়ার কথা বিবেচনায় রাখছে প্রশাসন।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বাজি পরীক্ষার পরিকাঠামো তৈরির ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য। ২০২১ সালে বিধিসম্মত বাজির ব্যবহার নিয়ে সরকারের নির্দেশিকা মানার কথাও বলা হয়েছে জেলা-কর্তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy