E-Paper

কাজের ভিত্তিতেই রদবদল, ‘চাপ’ বাড়ালেন অভিষেক

তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের সভা-মঞ্চ থেকে অভিষেক এই পরিকল্পনাই ঘোষণা করেছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:৪৬
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

দলে রদবদলের লক্ষ্যে অনড় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে তৈরি সংশয় কাটাতে বৃহস্পতিবার তিনি বলে দিয়েছেন, ‘‘সাংগঠনিক রদবদল হবেই।’’ সেই সঙ্গেই তাঁর সংযোজন, ‘‘পর পর ভোট এবং উৎসব ছিল। ঠিক সময়েই হবে (সাংগঠনিক রদবদল)।’’

ডায়মন্ড হারবার জুড়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের উদ্বোধনে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ফের স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সাংগঠনিক রদবদল হবে ‘পারফরম্যাল্স’ ভিত্তিক। এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে অভিষেকের বক্তব্য, ‘‘যাঁরা দলের জন্য কাজ করেছেন, তাঁদের চিন্তা করতে হবে না। গাছের পরিচয় তার ফলে। আমি কত দক্ষ, কত অভিজ্ঞ, তা তো ফলাফল দেখলেই বোঝা যাবে!’’ শাসক শিবির সূত্রের ব্যাখ্যা, দলে রদবলের লক্ষ্যে তাঁর প্রস্তাবের কথা এর আগে নিজের জন্মদিনে প্রকাশ্যে এনেছিলেন অভিষেক। নানা টানাপড়েনে সেই প্রস্তাব আটকে থাকলেও কাজের নিরিখে রদবদল যে হবে, সেই কথা বলে এ বার শীর্ষ নেতৃত্বের উপরে ‘চাপ’ বাড়ালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের সভা-মঞ্চ থেকে অভিষেক এই পরিকল্পনাই ঘোষণা করেছিলেন। তার পরে মূল্যায়ন তো বটেই, রদবদলের ভাবনা নিয়েই দলের অন্দরে নানা মত দানা বেঁধেছিল। অনেকেই এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, এ দিন সে সবই নাকচ করে দিয়েছেন তিনি। বরং, রদবদলের জন্য তিনি যে তিন-চার মাসের সময়সীমা দিয়েছিলেন, তা পেরিয়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন অভিষেক। দলীয় সূত্রে খবর, পৌষ সংক্রান্তির পরেই এই রদবদল প্রক্রিয়া শুরু করে দেবে শাসক দল। তৃণমূল নেত্রী মমতার সঙ্গে এই নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের কথা হয়েছে অভিষেক ও দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর।

মূলত রদবদল নিয়ে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে টানাপড়েন চলছে তৃণমূলের অন্দরে। কোথায়, কী ভাবে বদল হবে, তা নিয়ে দুই মতের তীব্র সংঘাতও হয়েছে বারবার। এই পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে একাধিক বার দলীয় কাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন অভিষেক। তবে এ দিন দল, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর দূরত্বের গুঞ্জন উড়িয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘আমার কাজ দলে দলে জোড়া ফুল ফোটানো। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী আমার কাছে এলে খবর হয়!’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘আমি পার্টির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আমার সঙ্গে রাজ্য সভাপতি বৈঠক করতে পারেন না? আমরা তো সহকর্মী, সহযোদ্ধা!’’

অভিষেকের ঘোষণা নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করেছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ভাইপো একটু দুঃখ পেয়েছেন। তিন মাস হয়ে গেল নাম জমা দেওয়া আছে, সেই তালিকা এখনও পাশ হয়ে আসেনি। উনি বলেছেন, ফলেন পরিচিয়তে। তবে ভাইপো যে তালিকাই দিন না কেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের স্বার্থরক্ষা হলে তবেই তো মুখ্যমন্ত্রী অনুমোদন দেবেন!’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Abhishek Banerjee TMC

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy