অ্যাডামস বিশ্ববিদ্যালয়ে সমার্তন অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় এই অনুষ্ঠান। তাঁদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন সকলের সঙ্গে, যা আগামী প্রজন্মকে উজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সমাবর্তন হলে অনুষ্ঠিত হয় এই জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের মধ্যমণি ছিলেন বিখ্যাত নোবেলজয়ী অধ্যাপক গ্রেগর পল উইন্টার। অনুষ্ঠানের শুরুতেই অ্যাডামসের আচার্য সমিত রায় সকল স্নাতক উত্তীর্ণদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। পড়ুয়াদের সামগ্রিক উন্নয়নের নেপথ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন তিনি। পাশপাশি, বিশ্ববিদ্যালয় কী ভাবে ধীরে ধীরে সাফল্য পেয়েছে, তা-ও ব্যাখ্যা করেন সমিত। সকল উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের স্বাগত জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। পড়াশোনা, গবেষণা-সহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই অ্যাডামস বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতির কথা বলেন তিনি। পূর্ব ভারতের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে সেই অবদান নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য বলে মনে করেন উপাচার্য।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অতিথিরা। —নিজস্ব চিত্র।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় নোবেলজয়ী অধ্যাপক উইন্টার, নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। পড়াশোনা বা কোনও কিছুর উপর অধ্যবসায় থাকলে, কী ভাবে তা জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে সাফল্য এনে দেয়, সে কথা বলেছেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে অন্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন জ্ঞানেশ্বর মনোহর, অরুণকুমার বাজোরিয়া, দেবাশিস ঘোষ-সহ আরও অনেকে। প্রত্যেকেই নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন পড়ুয়াদের সামনে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কৃতীদের হাতে সোনা, রুপোর পদক তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও, পিএইচডি ডিগ্রি প্রাপক এবং স্নাতকদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন অতিথিরা।