খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের প্রায় ১০ বছর পর তৎপরতা জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ-র। ওই মামলায় মুর্শিদাবাদের এক কংগ্রেস নেতা তথা শিক্ষক এবং এক টোটোচালককে তলব করেছেন গোয়েন্দারা। আগামী মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে তাঁদের হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, খাগড়াগড় কাণ্ডের প্রেক্ষিতেই তাঁদের ডাক পড়েছে।
মুর্শিদাবাদের সাগর পাড়া থানা এলাকায় একটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন আব্দুল জব্বার। কংগ্রেস নেতা হিসাবেও তাঁর পরিচিতি রয়েছে এলাকায়। নোটিসের প্রাপ্তিস্বীকার করে কংগ্রেস নেতা আব্দুল বলেন, ‘‘ষড়যন্ত্রের কথা বলব না। তবে যে ঘটনার প্রেক্ষিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে, সে সম্পর্কে কিছুই জানি না। তবে ডাকা হয়েছে যখন, নিশ্চয়ই হাজিরা দেব।’’ অন্য দিকে, বেলডাঙার বটতলা এলাকায় আজিজ় নামে যে টোটোচালককে গোয়েন্দারা ডেকেছেন, তাঁর টানাটানির সংসার। টোটোচালকের কথায়, ‘‘অভাবের সংসার। আমার টোটোর উপর নির্ভর করে পাঁচ জনের পেট চলে। কেন আমায় ডাকা হয়েছে, কিছুই জানি না। কলকাতায় যাতায়াতের পয়সাও নেই আমার কাছে। দেখি কী করে যাওয়া যায়।’’
আরও পড়ুন:
২০১৪ সালের ২ অক্টোবর দুর্গাপুজোর সময় বর্ধমান শহর লাগোয়া খাগড়াগড়ের একটি বাড়িতে বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণ হয়। দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় আরও এক জন। ওই ঘটনায় উঠে আসে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর নাম। ঘটনার তদন্ত করে এনআইএ। সম্প্রতি অসম এসটিএফের জালে ধরা পড়া একাধিক ব্যক্তির মাধ্যমে আবার খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের অন্যতম চক্রী, জেএমবি-র সদস্য সাদিক ওরফে তারিকুল ইসলামের নাম উঠে এসেছে। জানা যায়, জেলেই তারিকুলের কাছ থেকে ‘পাঠ’ নিয়েছিল মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার বাসিন্দা, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য আব্বাস আলি। গত সপ্তাহে দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে হাবিবুর রহমান ও গোলাম কিবরিয়া নামে মুর্শিদাবাদের দুই বাসিন্দাকে ডেকে পাঠিয়েছিল এনআইএ।