জিতিন প্রসাদ।—ফাইল চিত্র।
নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নিয়োগের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলায় দলের ভারপ্রাপ্ত নেতাও বদল করে দিল এআইসিসি। গৌরব গগৈয়ের জায়গায় এ রাজ্যে এআইসিসি-র তরফে কংগ্রেসের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেলেন জিতিন প্রসাদ। এআইসিসি সাংগঠনিক স্তরে শুক্রবার রাতে যে রদবদল করেছে, তার অঙ্গ হিসেবেই জিতিনকে বাংলার পাশাপাশি আন্দামান ও নিকোবরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের একটি সূত্রের মতে, দলের সর্বভারতীয় স্তরে সাম্প্রতিক কালের বিক্ষুব্ধ নেতাদের মধ্যে অন্যতম জিতিনকে উত্তরপ্রদেশ থেকে সরিয়ে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হল। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে অন্য প্রশ্নও তুলছেন। বাংলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য এবং তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে জিতিনের সম্পর্কও ‘ভাল’। বিধানসভা ভোটের আগে এমন একটি রাজ্যে জিতিনকে পর্যবেক্ষক করার সিদ্ধান্তে কি অন্য কোনও সমীকরণও কাজ করছে?
বাংলায় অমিতাভ চক্রবর্তী যখন যুব কংগ্রেসের সভাপতি, সেই সময়ে এ রাজ্যে যুব সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন জিতিন। তাঁর বাবা জিতেন্দ্র প্রসাদ আবার কংগ্রেস ভাঙার আগে সোমেন মিত্র, মমতাদের ‘কাছের লোক’ ছিলেন। তবে কংগ্রেসেরই অন্য সূত্রের বক্তব্য, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে প্রথম পর্যায়ে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে পর্যবেক্ষক গৌরবের সম্পর্ক ‘মসৃণ’ ছিল না। এখন দলে অধীরবাবুর গুরুত্ব বেড়েছে। সেই সময়ে গৌরবের বাংলার দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ওই অংশের মত। দায়িত্ব পেয়ে এ দিন জিতিনের মন্তব্য, ‘‘কংগ্রেসের প্রতি আমার দায়বদ্ধতার উপরে আস্থা রাখায় সনিয়া গাঁধী ও রাহুল গাঁধীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। নতুন দায়িত্ব পালনে চেষ্টার ত্রুটি করব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy