Advertisement
০২ মে ২০২৪
al-qaeda

ক্রমশ জাল ছড়াচ্ছে আল কায়দা, সন্দেহ রাজ্য গোয়েন্দাদের

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর, গোটা দেশ জুড়েই ওই জঙ্গি সংগঠন নিজেদের জাল বিস্তার করেছে। এ রাজ্য ছাড়া অসম, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরাখন্ডে নিজেদের ডালপালা গজানোর চেষ্টায় কিছুটা হলেও সফল হয়েছিল ওই জঙ্গিরা।

প্রতীকী ছবি।

শিবাজী দে সরকার
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২২ ০৮:৪৫
Share: Save:

রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ধরা পড়ছে আল কায়দার জঙ্গি (আল কায়দা-ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট বা একিউআইএস)। যা নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছিল গোয়েন্দাদের। তাঁদের দাবি, ওই জঙ্গি গ্রেফতার হওয়া কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর, গোটা দেশ জুড়েই ওই জঙ্গি সংগঠন নিজেদের জাল বিস্তার করেছে। এ রাজ্য ছাড়া অসম, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরাখন্ডে নিজেদের ডালপালা গজানোর চেষ্টায় কিছুটা হলেও সফল হয়েছিল ওই জঙ্গিরা। উত্তর এবং মধ্যপ্রদেশে গ্রেফতার হওয়া কয়েকজন জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ওই জঙ্গিরা গত দু-তিন বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে এই দেশে ঢুকে স্থানীয় যুবকদেরএকটি অংশকে জেহাদি কাজে লাগিয়েছে। তাদের যোগাযোগের মাধ্যম ছিল অনলাইনের একটি বিশেষ সফটওয়্যার বা অ্যাপ। অভিযোগ, যার মাধ্যমে নিজেরা শুধু যোগাযোগই রাখত না, সংগঠনে আগত নতুন সঙ্গীদের প্রশিক্ষণের কাজও চলত বলে জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

এক গোয়েন্দা কর্তার কথায়, উত্তর প্রদেশ-মধ্য প্রদেশ এবং অসম থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ধৃতদের জেরা করে প্রশিক্ষণের ওই নতুন ধারার কথা জানা গিয়েছে। যে কোডে তারা কথা বলত, সেটি ডিকোড করার চেষ্টা চলছে।

এ রাজ্যের ধৃতদের সঙ্গে বাইরের রাজ্যের ধৃতদের যোগাযোগ রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা যে দাবি করেছেন, তা সত্য বলেই জানিয়েছে এ রাজ্যের বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে গ্রেফতার হওয়া দুই জঙ্গি একরামুল হক এবং জহিরউদ্দিন আলিকে পুজোর আগে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। দু’জনেই বাংলাদেশের নাগরিক। আবার গত সপ্তাহে ভোপালে ধৃত মুফাক্কির এবং আকিল আহমেদ শেখকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত তাদের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

কার্যত এ রাজ্যের একাধিক জায়গায় নতুন মডিউল যেমন তৈরি করা হয়েছিল, অভিযোগ, তেমন ভাবেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আল কায়দা নিজেদের স্লিপার সেল তৈরি করে কাজ করছিল। লালবাজারের দাবি, ওই চার জনই বাংলাদেশ থেকে এসে প্রথমে অসমে আশ্রয় নিয়েছিল। পরে তারা এ রাজ্যের হাওড়া, বালুরঘাট-সহ বিভিন্ন জায়গাতে লুকিয়ে ছিল। তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল এ রাজ্যের পুলিশের হাতে ধৃত জঙ্গিরাই।

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, প্রায় তিরিশ জনের বেশি বাংলাদেশি জঙ্গি এ দেশে প্রবেশ করে নিজেদের লুকিয়ে আল কায়দার স্লিপার সেল তৈরি করে সংগঠনের বিস্তারের কাজ করছিল। শুধু তাই নয়, ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে তারা বিভিন্ন ভাবে এ রাজ্য থেকেও ‘টেরর ফান্ডিং’ করছিল বা অর্থ তুলছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

al-qaeda West Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE