Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Titli

তিতলির হুঙ্কারে সতর্কতা জারি এ রাজ্যেও, বৃষ্টি চলবে শনিবার পর্যন্ত

উত্তাল সমুদ্রে নৌকা নামাতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু হয়েছে এক মৎস্যজীবীর। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম নন্দন ওঝা (৩৩)। তাঁর বাড়ি কাঁথি-২ দেশপ্রাণ ব্লকের বাঁকিপুটের ভোগপুর এলাকায়।

ঘনীভূত: বুধবার রাত সাড়ে ১২টায় ঘূর্ণিঝড় তিতলির অবস্থান।

ঘনীভূত: বুধবার রাত সাড়ে ১২টায় ঘূর্ণিঝড় তিতলির অবস্থান।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:১৬
Share: Save:

দেবীপক্ষে আশঙ্কা বাড়িয়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিল ‘তিতলি’।

হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আরও শক্তি বাড়িয়ে আজ, বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশার গোপালপুর ও অন্ধ্রের কলিঙ্গপত্তনমের মাঝখান দিয়ে স্থলভূমিতে ঢুকতে পারে তিতলি। ওই এলাকায় ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার বেগে ঝ়়ড় বইতে পারে। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৬৫ কিলোমিটার। তার পরে দ্রুত শক্তি খোয়াতে খোয়াতে ওড়িশা হয়ে সে বাঁক নেবে গাঙ্গেয় বঙ্গের দিকে। বুধবারেই বঙ্গ উপকূলে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হয়েছে কলকাতাতেও।

উত্তাল সমুদ্রে নৌকা নামাতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু হয়েছে এক মৎস্যজীবীর। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম নন্দন ওঝা (৩৩)। তাঁর বাড়ি কাঁথি-২ দেশপ্রাণ ব্লকের বাঁকিপুটের ভোগপুর এলাকায়।

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশির ভাগ জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী ব়ৃষ্টির আশঙ্কা আছে। মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও বৃষ্টি হবে।’’

অবশ্য আবহবিদদের একাংশের আশ্বাস, তিতলি জোরালো শক্তি নিয়ে বাংলায় আসতে পারবে না। বরং ঠান্ডা হাওয়া গিলতে গিলতে দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়বে সে। ফলে চতুর্থী পর্যন্ত বৃষ্টি হলেও আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে পঞ্চমী থেকেই। বোধনের দিন আকাশে ফিরে আসতে পারে শরৎ।

তবে এ দিন ঝো়ড়ো হাওয়া শুরু হওয়ায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। দিঘা-সহ উপকূল এলাকায় জলে নামতে নিষেধ করা হয়েছে পর্যটকদের। বুধবার রাত ১০টার পর থেকে ট্রেন বন্ধ রাখা হয়েছে খুর্দা ও বিজয়নগরের মধ্যে।

নবান্নের খবর, রাজ্য সচিবালয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কন্ট্রোল রুম থেকে ঝড়ের উপরে নজর রাখা হচ্ছে। প্রতিকূল পরিস্থিতির কথা ভেবে কাকদ্বীপ ও দিঘায় এনডিআরএফের দু’টি দল পাঠানো হয়েছে। হরিণঘাটায় প্রস্তুত রাখা হচ্ছে এনডিআরএফের আরও কয়েকটি দলকে। অন্যান্য জেলাতেও তৈরি থাকছে এসডিআরএফের দল। বিভিন্ন জেলায় রয়েছে ৮৯টি নৌকা। বিভিন্ন ‘ফ্লা়ড শেল্টার’-এ ত্রাণ শিবির খোলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Titli Cyclone Alert West Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE