Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
NIA attacked in Bhupatinagar

ভূপতিনগরে তদন্তে যাওয়া এনআইএ কর্তাদের উপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে লঘু ধারা কেন! তোপে পুলিশ

৬ এপ্রিলই এনআইএ-র তরফে লিখিত অভিযোগ হয়েছে ভূপতিনগর থানায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৬, ৩৪১, ৩২৩, ৩৩২, ৩৫৩, ৪২৭ এবং ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

ভূপতিনগরে এনআইএ-র গাড়িতে ভাঙচুর।

ভূপতিনগরে এনআইএ-র গাড়িতে ভাঙচুর। — ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ভূপতিনগর ও কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:৪৬
Share: Save:

পেরিয়ে গিয়েছে চারটি দিন। তবে ভূপতিনগর বিস্ফোরণ-মামলার তদন্তে গিয়ে এনআইএ আধিকারিকদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় এখনও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তারই মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লঘু ধারায় মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে।

বুধবারই আদালতে তোলা হয় বিস্ফোরণ মামলায় ধৃত স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতা, বলাইচরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানাকে। রুদ্ধদ্বার শুনানির পরে এনআইএ-র বিশেষ আদালত দু’জনকেই আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এনআইএ সূত্রের খবর, গত ৬ এপ্রিল নারুয়াবিলা গ্রাম থেকে ধৃত এই দু’জনকে আরও ছ’দিন হেফাজতে চেয়ে এ দিন আবেদন করা হয়েছে।

৬ এপ্রিলই এনআইএ-র তরফে লিখিত অভিযোগ হয়েছে ভূপতিনগর থানায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৬, ৩৪১, ৩২৩, ৩৩২, ৩৫৩, ৪২৭ এবং ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৩৫৩ নম্বর ধারা ছাড়া বাকি সবই জামিনযোগ্য। এ ক্ষেত্রে আরও কড়া ধারা প্রয়োগ করা যেত বলেই মত আইনজীবী মহলের। কাঁথি মহকুমা আদালতের আইনজীবী দীপককুমার মিশ্র বলছেন, “বিভিন্ন চ্যানেলের ফুটেজে যে ভাবে মহিলা সিআরপি কর্মীদের হাত থেকে লাঠি কাড়ার চেষ্টা ও সশস্ত্র অবস্থায় হুমকির ছবি দেখা যাচ্ছে, তাতে অনেক কঠোর ধারায় মামলা করা যেত। পুলিশ না করলেও পরে কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা দায়িত্ব পেলে নিশ্চিত ভাবেই তা করবে।”

কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাস বলছেন, “অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। প্রাথমিক ভাবে যা জানা গিয়েছে, সেই মাফিক সব হয়েছে।” বৃহস্পতিবার সকালেও নাড়ুয়াবিলা গ্রামে গিয়েছিল পুলিশ। তবে তাদের দাবি, হামলায় অভিযুক্ত কাউকে চিহ্নিত করা যায়নি। সে ক্ষেত্রে গ্রামবাসীর বয়ানের ভিত্তিতে আরও কয়েক জনকে নোটিস পাঠানো হতে পারে। এরই মধ্যে, এনআইএ-র আধিকারিক ও সিআরপি জওয়ানদের বিরুদ্ধেও শ্লীলতাহানি, ভাঙচুরের পাল্টা মামলা দায়ের হয়েছে।

স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, “তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বাঁচাতে পুলিশ লঘু ধারায় মামলা করেছে। গ্রামে নাম কা ওয়াস্তে তল্লাশি চলছে।” তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের পাল্টা দাবি, “গ্রেফতার করতে হলে এনআইএ-র এসপি ধনরাজ সিংহকে গ্রেফতার করতে হবে। কারণ তিনিই ষড়যন্ত্র করেছেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Calcutta High Court Bhupatinagar NIA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE