Advertisement
E-Paper

‘চালানি’ মাছ খেলেই উঠছে লম্বা ঢেকুর, খাওয়ার পাতে দেশি মুরগি, টাটকা পোনার আবদার কেষ্টর

মঙ্গলবার সিবিআই আধিকারিকেরা অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদের ফাঁকে জানতে চান, তাঁর অসুবিধা হচ্ছে কি না। সূত্রের দাবি, তখনই সিবিআই-কে অনুব্রত চালানি মাছের কথা জানান।

সুশান্ত বণিক

শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:০২
পছন্দের দু’টি খাবারের আবদার করলেন অনুব্রত মণ্ডল।

পছন্দের দু’টি খাবারের আবদার করলেন অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল চিত্র।

দুপুরে পাতে পড়ছে ‘চালানি’ মাছের টুকরো। কিন্তু তা খেলেই লম্বা-লম্বা ঢেকুর উঠছে। তাই, একটু দেশি মুরগির ঝোল আর পুকুরের টাটকা পোনা মাছ (‌‌দেশি মাছ) হলে দুপুরের খাওয়াটা ভাল হয়— এই মর্মেই আবদার জানিয়েছেন গরু পাচার মামলায় ধৃত, বর্তমানে আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারে থাকা বিচারাধীন বন্দি অনুব্রত মণ্ডল, দাবি সিবিআই-এর একটি সূত্রের। তবে প্রশ্ন উঠেছে, বিচারাধীন বন্দির পক্ষে এমন আবদার জানানো কতটা যুক্তিযুক্ত।

গত মঙ্গলবার সিবিআই আধিকারিকেরা অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদের ফাঁকে জানতে চান, তাঁর অসুবিধা হচ্ছে কি না। সূত্রের দাবি, তখনই সিবিআই-কে অনুব্রত চালানি মাছের কথা জানান। আবদার করেন পছন্দের দু’টি খাবারের।

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, কেষ্টর (অনুব্রত) আবদারের কথা সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে ভেবে দেখতে বলা হয়েছে। সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল, দুপুর ও রাতের খাওয়াদাওয়া নিয়ে প্রথম ক’টা দিন কিছুই বলেননি অনুব্রত। জেলে প্রাতরাশে মুড়ি, চিঁড়ে, ছাতু দেওয়া হয়। অনুব্রতের আর্জি মেনে তাঁকে রুটি-তরকারি দেওয়া হচ্ছে। সপ্তাহে দু’-তিন দিন দুপুরে ডিম, মাছ বা মুরগির মাংস থাকে। অনুব্রতকেও তা-ই দেওয়া হচ্ছে। অনুব্রত তাতে যে আপত্তি জানিয়েছেন, তা-ও নয়। তবে সিবিআই-এর কাছে অনুব্রতের আর্জি শুনে বিষয়টি ভেবে দেখার কথা জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি জেল সূত্রে খবর, নিরাপত্তা ও শারীরিক অবস্থার কথা ভেবে অনুব্রতের মামলার ভার্চুয়াল শুনানির জন্য বিশেষ সিবিআই আদালতে আর্জি জানিয়েছেন জেল কর্তৃপক্ষ।

এ দিনই বীরভূমের খয়রাশোলের এক সভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, জেলের মধ্যে অনুব্রত সব সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘‘অনুব্রতকে যে দিন বিধাননগর আদালতে নিয়ে আসা হয়, সে দিন ফেরার পথে তাঁকে একটি নতুন মোবাইল দেওয়া হয়েছে।’’ সেই ফোন থেকে শুক্রবার অনুব্রত দুই বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ এবং বিকাশ রায়চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেছেন বলে দাবি শুভেন্দুর। সে জন্য তিনি মামলাটি অন্য রাজ্যে সরানোর দাবিও তোলেন।

জবাবে অভিজিৎ বলেন, ‘‘উনি যে অভিযোগ করেছেন, তার একটাও প্রমাণ হলে স্পিকারের কাছে গিয়ে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে আসব।’’ বিকাশের বক্তব্য, ‘‘এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। যা বলার দল বলবে।’’

Anubrata Mondal Jail Food
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy