Advertisement
E-Paper

গরু পাচার মামলায় প্রথম জামিন, তিহাড়মুক্তি অনুব্রতের হিসাবরক্ষকের, তবে আর্জি খারিজ সুকন্যার

চলতি বছরের শুরুতে দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল মণীশকে। সেই সময় দিল্লির কোর্ট চত্বরে দাঁড়িয়ে ঝরঝর করে কেঁদে ফেলেছিলেন কেষ্টর হিসাবরক্ষক।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:৫৫

—ফাইল চিত্র।

তা হলেই তিহাড়েই কাটতে চলেছে সুকন্যা মণ্ডলের দুর্গাপুজো? দিল্লি হাই কোর্টে খারিজ হয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের কন্যার জামিনের আবেদন। তবে জামিন পেলেন অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি।

চলতি বছরের শুরুতে দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল মণীশকে। সেই সময় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট চত্বরে দাঁড়িয়ে ঝরঝর করে কেঁদে ফেলেছিলেন কেষ্টর হিসাবরক্ষক। ধরা গলা তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘আমি কিচ্ছু করিনি। কোনও ভুল করিনি। আমার একমাত্র ভুল চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (সিএ) হওয়া।’’ তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১৩-’১৪ থেকে বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রতের ‘ঘনিষ্ঠ’ হয়ে ওঠেন বোলপুরের চৌরাস্তার বাসিন্দা মণীশ। এর পরেই তাঁর সম্পত্তি বাড়তে থাকে। ইডি সূত্রেও খবর ছিল, গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করার পিছনে মণীশের সক্রিয় ভূমিকা ও পরিকল্পনা ছিল। বোলপুরের আশপাশেও মণীশের নামে বিপুল অঙ্কের সম্পত্তির হদিস মিলেছে। তাঁর নামে সমস্ত জমির বাজারমূল্য ১৭-১৮ কোটি টাকা। সেই মণীশ জামিন পেলেও খারিজ হল সুকন্যার আর্জি।

গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত এখন দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি। বুধবার দিল্লির আদালত অনুব্রতের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ অক্টোবর করেছে। অন্য দিকে, তিহাড়ে বন্দি তাঁর কন্যা সুকন্যাও। আগেই সুকন্যার জেল হেফাজতের মেয়াদ আগামী বছরের জানুয়ারি করেছে আদালত। তবে দলের অনেকের আশা, সুপ্রিম কোর্টে অনুব্রতের জামিনের আবেদন হয়েছে। তাতে ইতিবাচক কিছু হতেও পারে। এর আগে কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন অনুব্রত। সেই আবেদন খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান কেষ্ট।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy