ঝালমুড়ি দিয়েই ঝালমুড়ির ঝাল কাটাতে আসরে নামলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঝালমুড়ি ভাগ করে খেয়ে বিজেপির অন্দরেই বিতর্কের ঝাঁঝের মুখে পড়েছিলেন বাবুল। অভিনেত্রী-নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে কটাক্ষ করেন। বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা রাজ্যে দলের পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিংহ এবং দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহও বাবুলের ‘ঝালমুড়ি কূটনীতি’র বিরোধিতা করেন। দলের অন্যান্য নেতা এবং কর্মীদের একাংশের মধ্যেও বাবুল সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়। সোমবার দলের রাজ্য দফতরে কোর কমিটির বৈঠকে দলীয় সহকর্মীদের ঝালমুড়ি খাইয়ে এবং গান গেয়ে সেই বিতর্কই লঘু করে দেন বাবুল।
বিজেপির এক সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বৈঠকে ঢুকেই বাবুল বলেন, ঝালমুড়ি হয়ে যাক! বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের জন্য আট ঠোঙা ঝালমুড়ি আনান তিনি। সিদ্ধার্থনাথ, রাহুলবাবু, দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমলেন্দু চট্টোপাধ্যায়, আরও দুই সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং দিলীপ ঘোষ প্রমুখ ওই বৈঠকে ছিলেন। সেখানে বাবুল জানান, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ঝালমুড়ি খাওয়ায় অনেকে ভাবছেন, তৃণমূল সম্পর্কে তাঁর মনোভাব কিঞ্চিৎ নরম। কিন্তু আসলে তা নয়। তৃণমূল সম্পর্কে নিজের অবস্থান বোঝাতে ‘বাধা দিলে বাধবে লড়াই, মরতে হবে’— এই গানটি গেয়ে ওঠেন বাবুল।
বিজেপি-র একাংশের বক্তব্য, মমতার সঙ্গে ‘ঝালমুড়ি কূটনীতি’ সফল কি না, ভবিষ্যৎ বলবে। তবে এ দিন দলীয় সহকর্মীদের সঙ্গে বাবুলের ‘ঝালমুড়ি কূটনীতি’ সফল। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী মাস থেকে প্রতি মাসে এক দিন করে বিজেপি-র রাজ্য দফতরে বসে আম দরবার করবেন বাবুল। সে সময় সাধারণ মানুষ নিজেদের অভাব-অভিযোগের কথা জানাতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy