Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
medicines

Bangladesh Medicine: আনন্দবাজার অনলাইনে বাংলাদেশের ওষুধের খবর, খোঁজ নিতে শুরু করল স্বাস্থ্য ভবন

সাম্প্রতিক অতীতে এমন ঘটনার কথা শোনা যায়নি। কী ভাবে প্রতিবেশী দেশের সরকারি ওষুধ এই রাজ্যের হাসপাতালে পৌঁছল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

স্বাস্থ্য ভবন।

স্বাস্থ্য ভবন। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২২ ০০:৪৮
Share: Save:

এ রাজ্যের হাসপাতালে বাংলাদেশের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে রোগীদের! আনন্দবাজার অনলাইনে মঙ্গলবার এই অভিযোগের খবর প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসল স্বাস্থ্য ভবন। কলকাতার সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর থেকে ওই ওষুধ পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পৌঁছেছিল বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে দাবি করা হয়েছে। এ বার সেই স্টোর কর্তৃপক্ষের কাছেই রিপোর্ট তলব করল স্বাস্থ্য ভবন। মঙ্গলবার রাতে এমন দাবি করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী।

বহির্বিভাগে চিকিৎসককে দেখানোর পর প্রেসক্রিপশনে লেখা অনেক ওষুধই সরকারি হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয় রোগীদের। কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে তেমন ভাবেই বেশ কয়েক জন রোগীর হাতে এসেছিল ডক্সিসাইক্লিন ক্যাপসুল। কিন্তু সেই ওষুধ হাতে পেয়েই চমকে ওঠেন তাঁরা। ওষুধের গায়ে বাংলায় লেখা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ, ক্রয় বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয়’। এমনকি, ওই ওষুধ তৈরি এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের কোনও তারিখ মোড়কের গায়ে লেখা ছিল না। এর পরেই ওই ওষুধ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বাংলাদেশ সরকারের ওষুধ কী ভাবে এ রাজ্যের হাসপাতালে সরকারি ভাবে বিতরণ করা হচ্ছে, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে মুখ খুলতে না চাইলেও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কলকাতার সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর থেকে বাংলাদেশ সরকারের ওই ওষুধগুলি সরবরাহ করা হয়েছিল। কিন্তু কোথা থেকে ওই ওষুধ স্টোরে এসেছিল তার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “আমরা জানতে পেরেছি ওই ওষুধ কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল স্টোর থেকে কাঁথির হাসপাতালে গিয়েছিল। এর উৎস খোঁজার চেষ্টা করছি।“

জেলা স্তরেও এই বিষয় খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দুকুমার মাজি। তিনি বলেন, “বিষয়টি নজরে আসার পর প্রাথমিক ভাবে অনুসন্ধান করে জানা গিয়েছে, কলকাতার সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর থেকে ওই ওষুধগুলি এসেছিল। তবে আসলে কী ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য জেলার ডেপুটি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরেই পরিষ্কার হবে, ওষুধগুলি নিয়ে কোনও সমস্যা রয়েছে কি না। তার আগে বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE