অগ্নিমিত্রা পাল। —নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার এক আরএসএস কর্মী। ধৃত ওই কর্মীর নাম সৌমিত্র তিওয়ারি ওরফে ছোটু। সোমবার সন্ধ্যায় আসানসোল উত্তর থানার অন্তর্গত কন্যাপুর সেনর্যালে কারখানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সৌমিত্রের গ্রেফতারির খবর পেয়েই উত্তর থানার অন্তর্গত কন্যাপুর ফাঁড়িতে ছুটে যান বিজেপি রাজ্য কোর কমিটির সদস্য তথা আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। ফাঁড়িতে পৌঁছন স্থানীয় পাঁচগাছিয়া পঞ্চায়েত প্রধান তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্য কর্মী-সমর্থকরা। ফাঁড়িতে দুই দলের সমর্থকেরা একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করে। পরিবেশ ক্রমশ উত্তপ্ত হওয়ায় আরও পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। পরে পুলিশের তরফে অগ্নিমিত্রাকে জানানো হয়, আগ্নেয়াস্ত্র-সহ তারা সৌমিত্রকে গ্রেফাতার করেছে। আইন অনুযায়ী আদালতে পেশ করা হবে। এখানে কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি নেই।
এ বিষয়ে তৃণমূলের মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ফালতু একটি ঘটনা ঘটেছে। নিজেদের মধ্যে ওঁরা লড়াই করেছেন। আমরা খবর পেয়েছিলাম নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ের সময় কেউ আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়েছে। তাই আমরা থানায় প্রতিবাদ জানাতে এসেছি। এই এলাকা সর্বদা সমস্ত ধর্মাবলম্বী মানুষ একসঙ্গে মিলেমিশে থাকি। স্বর্গীয় মানিক উপাধ্যায়ের এলাকা। বিচার ব্যবস্থার উপর আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে পুলিশ সঠিক ভাবে তদন্ত করুক।”
অগ্নিমিত্রা বলেন, “সৌমিত্র এক জন স্বয়ংসেবক। তাকে এখানে ধরে আনা হয়েছে। কেন ধরে আনা হয়েছে সেই বিষয়টি জানতে এখানে এসেছি। পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। আরও কিছু বিষয় রয়েছে। সেগুলি এখনও পরিষ্কার নয়, সেই বিষয়টি আমরা দেখে নিচ্ছি। পুলিশকেও বলা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “তদন্ত করা হোক। যদি কেউ দোষ করে থাকে তা হলে তার শাস্তি হবে। যদি কেউ দোষ না করে থাকে তাশহলে যেন তাঁকে অন্যায় ভাবে ফাঁসানো না হয়।”
তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলে অগ্নিমিত্রা বলেন, “দায়িত্বজ্ঞানহীন তৃণমূলের যুবরা এসে বাজার গরম করার চেষ্টা করছে, হাওয়া গরম করার চেষ্টা করছে, যাতে ঝামেলা হয়। কিন্তু আমি তো এক জন দায়িত্বশীল নাগরিক, তার উপরে এক জন প্রতিনিধি। আমি পুলিশকে বললাম সঠিক ভাবে তদন্ত করুন।”
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (সেন্ট্রাল) দেবরাজ বলেন, “আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক যুবককে আমরা গ্রেফতার করেছি। মঙ্গলবার তাঁকে আসানসোল আদালতে হাজির করানো হবে। তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করে দেখা হবে যে কোথা থেকে সে আগ্নেয়াস্ত্র পেল এবং কি উদ্দেশে সে এই এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy