পদত্যাগ করলেন বৈকুণ্ঠপুর-২ পঞ্চায়েতের ৭ সদস্য। —নিজস্ব চিত্র
বেসুরো নয়, এ বার তাল কাটল তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েতে। প্রধানকে তোপ দেগে পদত্যাগ করলেন উপপ্রধান-সহ ৭ পঞ্চায়েত সদস্য। পদত্যাগপত্র জমা দিলেন বর্ধমান ২ নম্বর বিডিও অফিসে। শুক্রবার এই ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিত তৎপরতা শুরু হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের বৈকুন্ঠ-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
বৈকুণ্ঠপুর-২ পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৪টি। সবকটিই তৃণমূলের দখলে। গত ৭ জানুয়ারি পঞ্চায়েতের ৮ জন সদস্য প্রধান শর্মিলা মালিকের বিরুদ্ধে খারাপ ব্যবহার ও সাধারণ মানুষকে পরিষেবা পেতে হয়রানির অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। কিন্তু পঞ্চায়েতের সংবিধান অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়সীমার আগে অনাস্থা আনায় বাতিল হয়ে যায় সেই প্রস্তাব। তারপরই পঞ্চায়েত সাত সদ্যস্যের পদত্যাগ ঘিরে শুরু হয়ে যায় বিতর্ক ও জল্পনা।
পদত্যাগী উপপ্রধান গোপাল বিশ্বাসের দাবি, পঞ্চায়েত প্রধানের দুর্ব্যবহার এবং সাধারণ মানুষ ঠিকমতো পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণেই পদত্যাগ করেছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘‘দলকে বারে বারে জানিয়েও সুরাহা না হওয়ায় সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। পঞ্চায়েত সদস্যের পদ ছেড়ে দিলেও অঞ্চল সভাপতি হিসাবে কাজ চালিয়ে যাব।’’
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে পঞ্চায়েত প্রধান শর্মিলা মালিকের দাবি, সরকারি নিয়মনীতি মেনেই সমস্ত কাজ করা হয়। মানুষ সব পরিষেবা পান। তা ছাড়া পঞ্চায়েতের সব সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করেই কাজ হয়। কেন তাঁরা পদত্যাগ করেছেন, তা আমি বলতে পারব না।’’
এই বিষয়ে বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিক বলেন, ‘‘বার বার দলের উপর মহলকে জানিয়েছি। কিন্তু কেউ কথা শোনেননি।’’ রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে দলে আলোচনা করে মিটিয়ে নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy