আসানসোল হাসপাতালে পরীক্ষা ছাত্রীর। নিজস্ব চিত্র Stock Photographer
ভাঙা পা নিয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতাল থেকে পদার্থবিদ্যার পরীক্ষা দিল এক ছাত্রী। ওই ছাত্রীর বাবা জামুড়িয়ার চাঁদার বাসিন্দা কাজল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মেয়ে মনীষা আসানসোল মণিমালা বালিকা বিদ্যালয়ের পড়ুয়া। বুধবার সকালে তিনি মেয়েকে নিয়ে মোটরবাইকে আসানসোলের বেঙ্গলি গার্লস হাই স্কুলের পরীক্ষাকেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক পেরিয়ে আসানসোল ঢোকার মুখে দু’নম্বর বোরো কার্যালয়ের দিক থেকে একটি গাড়ি দ্রুত গতিতে এসে বাইকে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রশাসনের উদ্যোগে দ্রুত পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পশ্চিম বর্ধমানের যুগ্ম আহ্বায়ক সব্যসাচী মিত্র জানান, পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে তাঁদের ফোনে মনীষার পা সম্ভবত ভেঙে গিয়েছে বলে জানানো হয়। তার পরেও মনের জোরে পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছের কথা শুনে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। প্রথমে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দল পরীক্ষাকেন্দ্রে যায়। তারপর ট্রাফিক ওসি ও দক্ষিণ থানার সহযোগিতায় মনীষাকে আসানসোল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস জানান, বাম পায়ের হাড় ভেঙেছে। প্লাস্টার করার পরে জেলা উচ্চ শিক্ষা দফতর হাসপাতালে পরীক্ষার ব্যবস্থা করে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, এর আগে মাধ্যমিকে পাঁচ পরীক্ষার্থী হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা দিয়েছে। অবশ্য সকলেরই মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা এমন নানা উপসর্গ ছিল।
মণিমালা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রঞ্জনা রায়চৌধুরী ছাত্রীর মনের জোরের প্রশংসা করে বলেন, ‘‘দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা নিয়ে প্রশাসন আরও সতর্ক হলে ভাল
হয়।’’ পশ্চিম বর্ধমান জেলা মুখ্য বিদ্যালয় (মাধ্যমিক) পরিদর্শক সুনীতি সাপুই জানান, রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মেনে সব ব্যবস্থা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, প্রশাসনের তৎপরতাও প্রশংসাযোগ্য। মনীষার বাবা কাজল জানাচ্ছেন, আগামী দিনে কম্পিউটার সায়েন্স ও রসায়নের পরীক্ষা আছে। কিন্তু, চিকিৎসক জানিয়েছেন অপারেশন করতে হবে। তাই ওই পরীক্ষাগুলিও হাসপাতাল থেকে দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy