১৮ দিনের শিশু চুরি হয়ে গিয়েছে! মঙ্গলবার দুপুর থেকে এ নিয়ে শোরগোল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। অজ্ঞাতপরিচয় এক মহিলার খোঁজে পুলিশ। হাসপাতালে গিয়েছেন জেলা পুলিশের শীর্ষকর্তারা।
শিশুপুত্রের চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের বহির্বিভাগে গিয়েছিলেন সেলেফা বিবি নামে এক মহিলা। তাঁর মা হামিদা বিবিও ছিলেন সঙ্গে। শিশুটির বাবা সুজল শেখ তখন ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন।
পরে নিজের চিকিৎসার জন্য প্রসূতি বিভাগের সামনে বারান্দায় সেলেফা এবং তাঁর মা শিশুটিকে নিয়ে বসেছিলেন। চিকিৎসক তখন ছিলেন না বলে অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সেই সময় হলুদ রঙের চুড়িদার পরিহিত এক মহিলা তাঁদের কাছে এসে শিশুটিকে আদর করতে চান। কিছু ক্ষণের জন্য কোলেও নেন। কয়েক সেকেন্ডের জন্য অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিলেন সেলেফা। অভিযোগ, তার মধ্যেই শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যান ওই মহিলা।
বধূর চিৎকার-চেঁচামেচিতে হাসপাতালে উপস্থিত অন্যান্য রোগী এবং পরিজন ব্যস্ত হয়ে পড়েন শিশুটিকে খুঁজতে। সেলেফার মা জামাইকে সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে পুরো বিষয়টি জানান। সুজল সঙ্গে সঙ্গে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে যান এবং অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই পরিবারের বাড়ি বীরভূমের কীর্ণাহারের বলরামপুরে। তারা শিশুচুরির অভিযোগ করেছে। খোঁজ চলছে। হাসপাতালের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে। অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। শিশুচুরির অভিযোগ ঘিরে রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়দের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আবার প্রশ্নের মুখে মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তা। সুরজ সাহানা নামে এক রোগীর আত্মীয় বলেন, “এ ভাবে ভিড়ের মধ্যে থেকে শিশুচুরি হওয়া সত্যিই উদ্বেগজনক। নিরাপত্তা আরও জোরদার করা প্রয়োজন।”
শিশুচুরির খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন জেলার ডিএসপি (হেডকোয়ার্টার) দেবাশিস চক্রবর্তী এবং বর্ধমান থানার আইসি দিব্যেন্দু দাস। তবে তাঁরা এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাননি।