—নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডাল ব্লকের খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে উত্তেজনা। ফের প্রধান এবং উপপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ নামলেন পঞ্চায়েত সদস্যরা। বিক্ষোভের জেরে পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরেই কিছু ক্ষণের জন্য বন্দী হয়ে রইলেন উপপ্রধান।
সোমবার বিকেলে অন্ডালের খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পঞ্চায়েতের সদস্যরাই। বিক্ষোভ চলাকালীনই স্লোগান উঠল, “উপপ্রধানের দুর্নীতি মানছি না মানবো না। পঞ্চায়েত সদস্যদের সাথে আলোচনা না করেই নিজের ইচ্ছামত কাজ করছেন প্রধান আর উপপ্রধান। দুর্নীতি, স্বজনপোষণের অভিযোগ মানছি না মানবো না।” এই বিক্ষোভের জেরে পঞ্চায়েতের ভিতরে কিছু ক্ষণের জন্য বন্দী হয়ে পড়েন উপপ্রধান। বিক্ষোভকারী পঞ্চায়েত সদস্য শুভাশিস সিন্হার অভিযোগ, “সাধারণ মানুষ পঞ্চায়েতে কোনও কাজ নিয়ে গেলে খালি হাতে ফিরে আসতে হয়। এলাকায় উন্নয়নের কাজও কিছুই হচ্ছে না। পানীয় জলের সমস্যা নিকাশিনালার সমস্যা লেগেই রয়েছে। সদস্যরা প্রতিবাদ করতে গেলে নানা ভাষায় হুমকিও দেওয়া হয় তাঁদের। রাতের অন্ধকারেও পঞ্চায়েত কার্যালয়ের ভিতরে বহিরাগতদের নিয়ে কাজ হয়। তাই বাধ্য হয়ে আমরা বিক্ষোভে নেমেছি। আমাদের সাথে এলাকাবাসীরাও সামিল হয়েছেন বিক্ষোভে।”
এই বিক্ষোভে বিড়ম্বনায় পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বও। যদিও খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গণেশ বাদ্যকরের দাবি, “পুরো ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন ওঁরা। তৃণমূলের কর্মী হলে এই ধরনের কাজ করতে পারতেন না। পঞ্চায়েত খুব ভাল জায়গায় আছে। আর যদি কারও কিছু অভিযোগ থাকে তাহলে পঞ্চায়েতের বোর্ড মিটিংয়ে তুলে ধরবেন। পঞ্চায়েতে লিখিত আকারেও দেবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy