অভিযুক্ত আব্দুর রব নিজস্ব চিত্র
তৃণমূল কর্মী খুনে অভিযুক্ত দলেরই এক নেতাকে দেখা গেল দলীয় একটি অনুষ্ঠানে। গত মঙ্গলবার বর্ধমান শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে খুন হন অশোক মাঝি নামে এক তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ ওঠে, গোষ্ঠী বিবাদের জেরেই খুন হতে হয়েছে অশোককে। দলের জেলা স্তরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রবের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলেন অশোকের স্ত্রী। ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সেই আব্দুরকে দেখা গেল দলেরই অনুষ্ঠানে। শনিবার তৃণমূলের দু’টি কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন তিনি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
অশোকের স্ত্রী এবং ছ’নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সৈয়দ মহম্মদ সেলিমের তরফে করা অভিযোগে দলের জেলা স্তরের সাধারণ সম্পাদক শিবশংকর ঘোষ, আব্দুর ও প্রাক্তন আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি ইফতিকার আহমেদকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। শনিবার সেই আব্দুরই বর্ধমান পৌরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের তেলমারুই পাড়ায় ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
অন্য দিকে, শহরেরই ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি রক্তদান শিবিরেও তাঁকে বিধায়ক খোকন দাসের পাশে বসে থাকতে দেখা যায়। যদিও পরে এই নিয়ে খোকন দাসকে প্রশ্ন করা হয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি। শুধু স্বীকার করেছেন, অনুষ্ঠানে আব্দুর তাঁর পাশেই ছিলেন।
এ নিয়ে কটাক্ষ করছেন বিজেপি-র শহর আহ্বায়ক কল্লোল নন্দন। তিনি বলেন, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কি না, সবাই জানে। এক জন খুন হয়েছেন, তাঁকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। আর যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনিই দলের কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন! প্রশাসন যে নির্বিকার, সেটাও স্পষ্ট।’’
অন্য দিকে, তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘দলের কোনও অভিযোগ ছিল না। নিহতের পরিবার এই অভিযোগ করেছে। পুলিশ পুলিশের মতো করে তদন্ত করছে। এতে আমাদের কী-ই বা বলার থাকতে পারে!’’
খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে শিবশঙ্কর-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে শক্তিগড় থেকে স্পেশ্যাল অপারেশন টিম তৃণমূল নেতা শিবশংকরকে গ্রেফতার করে। যদিও ঘটনায় বাকি অভিযুক্তরা এখনও অধরা। বর্ধমানের জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, ‘‘পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। অভিযোগপত্রে নাম থাকলেই গ্রেফতার করা যায় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy