২০২১ সালের বিধানসভা, ২০২৪ সালের লোকসভায় পূর্ব বর্ধমান বিরোধীশূন্য। আগামী বিধানসভা ভোটেও সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেন তৃণমূলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ভোটার তালিকা নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর নিয়ে প্রতিটি বিধানসভায় দলের ‘ওয়ার রুম’ খোলা হয়েছে। শুক্রবার হুগলি থেকে দু'দিনের জন্য পূর্ব বর্ধমানে আসেন তিনি। কালনা বিধানসভা দিয়ে সফর শুরু হয়। শেষ হয় ভাতারে। পূর্বস্থলী উত্তর ও দক্ষিণ, কাটোয়া, কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোটে দলের ‘ওয়ার রুম’ ঘুরে দেখেন অরূপ। সন্ধ্যায় তিনি বলেন, “জেলায় গত তিন বারের মতো ১৬-০ ফল হবে। আমাদের দল একটা পরিবার। এসআইআর নিয়ে কর্মীরা ভাল কাজ করেছেন। রাস্তায় টেবিল নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।”
এসআইআর নিয়ে নানা হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন, বিএলও অ্যাপ কাজ করছে না, অতিরিক্ত চাপে বিএলওদের অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনার উল্লেখ করেন মন্ত্রী। এর জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেন। তিনি বলেন, “বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশন একটা গাড্ডা খুঁড়েছে। সেখানেই বিজেপি পড়ে যাবে। আমরা আবারও বলছি, একজন বৈধ ভোটারের নাম বাদ দিলেও আন্দোলন হবে।”
তৃণমূল সূত্রের খবর, এ দিন কালনায় এসআইআর সংক্রান্ত দলের কাজ নিয়ে মন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি বিধানসভায় ‘ওয়ার রুম’ খুলে এসআইআরের কাজে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছিলেন। কালনায় চার-পাঁচ জন মিলে ‘ওয়ার রুম’ চালিয়েছেন। আবার পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভায় দলীয় কার্যালয় খোলা থাকলেও ‘ওয়ার রুম’ ছিল না। এমনকী, ওই বিধানসভার অনেক নেতাই এসআইআরের কাজে সহযোগিতা করছেন না বলে রিপোর্ট জমা পড়েছে। পূর্বস্থলী ২ ব্লকের দায়িত্বে থাকা কর্মীকে সরিয়ে অন্য জনকে দায়িত্বও দেওয়া হয়। বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কার্তিক পুজোর জন্য কর্মীরা আসেননি, সে দিনের ছবি করে রিপোর্ট পাঠিয়েছে। এটা ঠিক হয়নি।” তবে পূর্বস্থলী দক্ষিণ, কাটোয়া ও কেতুগ্রাম নিয়ে মন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কর্মীদের তাঁর নির্দেশ, বিএলও অ্যাপে ‘নট ফাউন্ড’ ভোটারদের সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করে তাঁদের বাড়ি গিয়ে গণনাপত্র পৌঁছে দিতে হবে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে গণনাপত্র জমা দেওয়ার কাজ শেষ করতে হবে। দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শীর্ষ নেতৃত্ব প্রতিটি বিধানসভায় নজরদারি করছেন। কর্মীদের গা আলগা দেওয়ার জায়গা নেই।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)