মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণায় রেণু খাতুন। নিজস্ব চিত্র।
ডান হাত কেটে নেওয়া সেই রেণু খাতুনের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উপযুক্ত কাজ, চিকিৎসার খরচ এবং কৃত্রিম হাতের বন্দোবস্ত সরকার করবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই খবর শোনার পর হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা রেণুর যন্ত্রণাকাতর মুখে এখন খুশির ঝিলিক।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর রেণু বলছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মায়ের মতো আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, এটা ভেবে আমি স্বস্তি পেয়েছি। উনি আমাকে সন্তানতুল্য ভেবে এই ব্যবস্থা করেছেন। এটা জেনেও আমি অনেক স্বস্তি পেয়েছি।’’
চাকরির পাশাপাশি রেণুর চিকিৎসা এবং কৃত্রিম হাত লাগানোর প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না থাকায় দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ৫৭ হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে রেণুর পরিবারকে। বিষয়টি মুখ্যসচিবকে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ নিয়ে জখম ওই তরুণীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ছিল না। কিন্তু আমি শুনেছি, আমার বাবা-মায়ের যে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড আছে, সেখানে রাতারাতি আমার নাম ঢোকানো হয়েছে। এখন সেটা জমাও দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার এত তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করায় আমি খুবই খুশি। ৫৭ হাজার টাকা জমা করা হয়েছে। ওটা ফেরত দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে আমার চিকিৎসা করা হবে।’’
রেণুর স্বামী শের মহম্মদ গ্রেফতার হয়েছে মঙ্গলবার রাতে। বুধবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে হাজির করা হলে শের মহম্মদকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। স্বামীর কথা উঠতেই অন্ধকার নামে রেণুর মুখে। শুধু বললেন, ‘‘ও গ্রেফতার হয়েছে শুনেছি। আমি চাই, ওর কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি হোক। যতটা আইনি ভাবে দেওয়া যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy