Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Pradhan Mantri Aawas Yojna

আবাস যোজনার ফর্ম বিলি করায় মারধরের নালিশ

বিজেপির অভিযোগ, আবাস যোজনার তালিকায় আউশগ্রাম ১ ব্লকে মাত্র ১১ জনের নাম রয়েছে। তাই অনেক দুঃস্থ ও যোগ্য ব্যক্তি কেন্দ্রীয় সরকারের বাড়ি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত থাকছেন।

ভাঙচুরের পরে। নিজস্ব চিত্র

ভাঙচুরের পরে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আউশগ্রাম শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:১০
Share: Save:

আবাস যোজনার ফর্ম বিলি নিয়ে বিজেপির এক নেতার দোকানে চড়াও হয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে বননবগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করানোর পরে জয়ন্ত দে কর্মকার নামে বিজেপির স্থানীয় মণ্ডল সহ-সভাপতি পুলিশে অভিযোগ করেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, ওই বিজেপি নেতা বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নামে সাধারণ মানুষের কাছে মোটা টাকা তুলছিলেন। জনতা এর প্রতিবাদ করেছে। তৃণমূলের সঙ্গে ঘটনার যোগ নেই। পুলিশ জানায়, এক জনকে আটক করা হয়েছে।

বিজেপির অভিযোগ, আবাস যোজনার তালিকায় আউশগ্রাম ১ ব্লকে মাত্র ১১ জনের নাম রয়েছে। তাই অনেক দুঃস্থ ও যোগ্য ব্যক্তি কেন্দ্রীয় সরকারের বাড়ি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত থাকছেন। তাই সংগঠনের নির্দেশে যোগ্য ব্যক্তিদের ওই ফর্ম দিয়ে তা পূরণ করে ব্লকে জমা দিতে বলা হয়। শনিবার থেকে এলাকায় সেই ফর্ম বিভিন্ন বুথ সভাপতিদের দেওয়া শুরু করেন দোখলগঞ্জের বাসিন্দা জয়ন্ত। রবিবার বুথ সভাপতিরা এলাকায় সেই ফর্ম বিলি করতেই, তৃণমূলের তরফে নানা ভাবে হুমকি দেওয়া হয়। এর পরেই এ দিন আউশগ্রাম বাজারে তাঁর গয়নার দোকানে চার জন তৃণমূল কর্মী চড়াও হয় বলে অভিযোগ।

জয়ন্তের অভিযোগ, ‘‘দলের নির্দেশে ফর্ম দেওয়া শুরু করি। রবিবার করোটিয়া গ্রামের এক বুথ সভাপতি সেই ফর্ম দিলে তাঁকে ফোনে হুমকি দেয় তৃণমূলের লোকজন। এর পরে এ দিন বিকেল ৪টে নাগাদ আমি দোকান খোলার সময়ে চার জন এসে ফর্ম কেন বিলি করছি, তা জানতে চায়। তার পরেই আমাকে মারধর করে। দোকানের আসবাব ভাঙচুর করে। ক্যাশবাক্স থেকে টাকাও লুট করে।’’ বিজেপির স্থানীয় মণ্ডল সভাপতি সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল আবাস যোজনার বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নামে এলাকায় ‘কাটমানি’ তুলেছে। তার পরেও তালিকায় নাম ওঠেনি অনেকের। সংগঠনের নির্দেশেই জয়ন্ত যোগ্য ব্যক্তিদের আবাস যোজনার ফর্ম দিয়ে ব্লক অফিসে জমা করতে বলেন। তাতে ভয় পেয়ে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল।’’

যদিও তৃণমূলের আউশগ্রাম অঞ্চল সভাপতি শেখ ইন্দাজুলের দাবি, ‘‘এটি একটি সরকারি প্রক্রিয়া। বিজেপি এলাকায় ফর্ম বিলি করে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছিল। লোকজনের কাছে মোটা টাকা নিচ্ছিল। তাই জনতা তাঁর দোকানে চড়াও হয়। দোকান বন্ধ করে তিনি পালিয়ে যান। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।’’ পুলিশ জানায়, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি না পেলে কেউ আবেদন জানাতেই পারেন। অভিযোগ জানানোরও ব্যবস্থা আছে। তা জমা দিলে নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Pradhan Mantri Aawas Yojna Ausgram BJP TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE