Advertisement
E-Paper

বর্ধমান-কাটোয়া রোড সংস্কার চেয়ে অবরোধ

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্ধমান স্টেশনের পরে, বাজেপ্রতাপপুর মোড় থেকেই রাস্তার নানা জায়গায় তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। সাবজোলাপুল, বিজয়রাম, হাটুদেওয়ান, ভোতারপাড়-সহ নানা এলাকায় রয়েছে বড়-বড় গর্ত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:৪১
অবরোধে আটকে বহু যানবাহন। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

অবরোধে আটকে বহু যানবাহন। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

রাস্তার দু’পাশ ভেঙেচুরে গিয়েছে। কোথাও কোথাও রাস্তার মাঝে তৈরি হয়েছে গর্ত। পিচ উঠে গিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। তার উপর দিয়েই দিনভর চলছে বাস থেকে টোটো, সব রকম যানবাহন। বেহাল এই বর্ধমান-কাটোয়া রোড সংস্কারের দাবিতে বৃহস্পতিবার বিজয়রামের কালীতলা মোড়ে অবরোধ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘণ্টা দু’য়েক তা চলার পরে, পুলিশ গিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।বাসিন্দাদের অভিযোগ, বছর দে়ড়েক ধরেই রাস্তাটি বেহাল। এ বার বর্ষার শুরু থেকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। মাঝেমধ্যে মেরামতির নামে ‘তাপ্পি’ মারা হয়। কিন্তু হাল ফেরে না। অথচ, পূর্ব বর্ধমানের নানা প্রান্ত তো বটেই, ভিন্‌ জেলার সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও এই রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ। বর্ধমান থেকে কাটোয়া, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তরবঙ্গ যাতায়াতে বহু গাড়ি এই রাস্তা ব্যবহার করে। ফলে, যানবাহনের চাপও থাকে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্ধমান স্টেশনের পরে, বাজেপ্রতাপপুর মোড় থেকেই রাস্তার নানা জায়গায় তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। সাবজোলাপুল, বিজয়রাম, হাটুদেওয়ান, ভোতারপাড়-সহ নানা এলাকায় রয়েছে বড়-বড় গর্ত। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বিজয়রাম এলাকায়। রাস্তায় প্রায় হাঁটু সমান গর্ত। তাতে জল জমে রয়েছে। তার উপর দিয়েই যাতায়াত করছে বাস, ট্রাক, গাড়ি, টোটো। নেড়োদিঘি, হাটুদেওয়ানে রাস্তার দু’পাশ ভেঙেচুরে গিয়েছে। বাজেপ্রতাপপুর থেকে দেওয়ানদিঘি পর্যন্ত রাস্তার এই অবস্থা চোখে পড়বে। বাসিন্দাদের ক্ষোভ, গ্রীষ্মে ধুলো আর বর্ষায় জলকাদায় রাস্তাটি ব্যবহার করা মুশকিল হয়ে পড়ছে।

এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ অবরোধ শুরু করেন এক দল বাসিন্দা। রাস্তায় বেঞ্চ পেতে বসে পড়েন মহিলারা। ব্যস্ত সময়ে আটকে পড়ে বহু যানবাহন। থমকে থাকে নানা রুটের বাস। যানজট তৈরি হয়। ঘন্টা দু’য়েক পরে, পুলিশ গিয়ে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দা শকুন্তলা দাসের অভিযোগ, ‘‘রাস্তার ধুলো উড়ে ঘর ভরে যাচ্ছে।’’ রিজানুর শেখের কথায়, ‘‘এত বড়-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে যে অনেক সময়ে অ্যাম্বুল্যান্সে রোগী নিয়ে যাওয়া সমস্যা হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ঠেলে অ্যাম্বুল্যান্স পার করে দেন।’’ সাহেব ভকত নামে এক বাসিন্দার অভিযোগ, ‘‘ক্ষোভ-বিক্ষোভ করলে সামান্য কাজ করা হয়। তার পরে আবার এক অবস্থা। ছোট-বড় দুর্ঘটনা লেগেই আছে। তবু প্রশাসনের কোনও হুঁশ নেই।’’ পূর্ত দফতরের বর্ধমানের আধিকারিক ভজন সরকার বলেন, ‘‘এই মাসের গোড়ার দিকে রাস্তার কাজে যুক্ত সংস্থাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। টেন্ডার করে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। রাস্তা তাড়াতাড়িই সংস্কার করে দেওয়া হবে।’’

Burdwan Bardhaman agitation katoa Cord Line Road
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy