কয়লা কাণ্ডে তদন্তে সিআইডির প্রতিনিধি দল। নিজস্ব চিত্র।
অবৈধ কয়লা কাণ্ডে এ বার সিবিআইয়ের পাশাপাশি সমান্তরাল তদন্তে নামল সিআইডি। রাজ্য সরকারের তরফে গঠন করা ২০ জনের এই তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে রয়েছেন সিআইডির ডিআইজি অজয় ঠাকুর। শুক্রবার তাঁরা পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডাল-সহ কয়েকটি জায়গায় যান।
তদন্তকারী দল শুক্রবার প্রথমেই কাজোড়া এরিয়া অফিসে যায়। পরে কাজোড়া এরিয়া অফিসের অন্তর্গত লছিপুর হরিশপুরের তালডাঙ্গা কয়লা খনি এলাকা-সহ আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন বৈধ, অবৈধ খোলামুখ খনি পরিদর্শন করেন।
সিআইডির তদন্তের বিষয়ে অজয় ঠাকুর জানান, ইসিএলের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁরা তদন্ত এসেছেন। যাঁরা অভিযোগ করেছেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন কয়লাখনি এলাকা পরিদর্শন করছেন তাঁরা। অন্ডালের এই এরিয়া অফিস থেকে ইসিএলের তরফে প্রথম অভিযোগ জানানো হয়েছিল। তাই এখানেই প্রথম এসেছেন তাঁরা।
কয়লা কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ৩৩টি মামলার দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে কয়লা চুরি, দুর্নীতি-সহ বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়েছে ইসিএলের তরফে। এই ৩৩টির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৩টি মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি, এমনটাই জানা গিয়েছে ভবানী ভবন সূত্রে। অন্ডাল, বারাবনি, পাণ্ডবেশ্বরের কয়লা খনিগুলি ঘুরে দেখবে সিআইডির তদন্তকারী দল। ইতিমধ্যেই সেখানে দায়িত্বে থাকা ইসিএল আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তাঁরা।
কয়েকদিন ধরেই সিবিআইয়ের দল কাজোড়া এরিয়ার অন্তর্গত হরিশপুর জেকে রোপওয়ে বক্তানগর ইত্যাদি জায়গায় রোজ অভিযান চালাচ্ছে। শুক্রবার আসানসোল জামুরিয়া রানিগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন বৈধ-অবৈধ কয়লা খনি ঘুরে দেখে। সেখানে খনির ভিতরেও যান তাঁরা। কথা বলেন ইসিএল আধিকারিকদের সঙ্গেও। জানা গিয়েছে, কয়লা চুরির অভিযোগ করে ইসিএল কর্তৃপক্ষ স্থানীয় থানায় মামলা করেছে। এমনকি কয়লা চুরি তা ফের বাজেয়াপ্ত সংক্রান্ত তথ্যও ইসিএল আধিকারিকেরা সিবিআইয়ের দলকে বলেছেন। সিবিআইয়ের দল এখনও পর্যন্ত আসানসোলের ডামরা কালিপাহাড়ি শ্রীপুর নিঘা পানিহাটির মতো এলাকায় অভিযান চালিয়ে বহু তথ্য জোগাড় করেছে বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy