করোনা অতিমারির মধ্যে ইদের উৎসবে সংক্রমণ ঠেকাতে নানা পরিকল্পনা নিতে শুরু করেছে কালনা মহকুমার মসজিদ কমিটিগুলি। বুধবার মসজিদ কমিটি, বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বৈঠক করে মহকুমা প্রশাসন। সেখানে জানিয়ে দেওয়া হয়, নির্দিষ্ট সংখ্যক লোক নিয়ে দূরত্ব-বিধি মেনে উৎসবের আয়োজন করতে হবে। এক সঙ্গে ৫০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না, তা-ও দূরত্ব বজায় রেখে। এর সঙ্গেই নমাজের আগে এলাকার বিভিন্ন মসজিদ দমকল বাহিনী জীবাণুমুক্ত করবে বলেও জানানো হয়। বিভিন্ন মসজিদ কমিটিকে পাঁচটি ‘থার্মাল গান’ দেওয়ার কথাও জানানো হয়।
প্রতিবারই ১৫৩৩ সালে তৈরি কালনার দাঁতনকাঠিতলার মসজিদে সব থেকে বেশি মানুষ নমাজ পড়তে আসেন। শহর এবং আশাপাশের ১৫টি গ্রামের হাজার পাঁচেকেরও বেশি মানুষ জমা হন সেখানে। মসজিদটি দেখভাল করে ‘আঞ্জুমান তাহাফ্ফুজ সোসাইটি’। ওই সংগঠনের দাবি, বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সরকারি নিয়ম মেনে মসজিদ চত্বরে নমাজ অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি হাজির থাকবেন না। তাঁদের দাঁড়ানোর জন্যও নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর মাটিতে বৃত্ত তৈরি করে দেওয়া হবে।
ডাঙাপাড়া মসজিদ, নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকার মসজিদ, জবারিপাড়া, বালির বাজার মসজিদ, শাসপুর এক গম্বুজ মসজিদ-সহ বিভিন্ন মসজিদ কমিটিকে চিঠি দিয়ে দু’জন করে পাঠানোর কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের জানানো হয়েছে, এলাকার ফাঁকা জায়গা অথবা মসজিদে বিধি মেনে নমাজ পাঠ করতে হবে।
দাঁতনকাঠিতলার মসজিদের ইমাম হাফেজ মওলানা তৈয়ব জানান, যাঁরা নমাজ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তাঁদের জন্য সাদা মাস্ক এবং স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কালনা নতুন বাসস্ট্যান্ড মসজিদ কমিটির পক্ষে আব্বাস আলি শেখও বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতির জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনেই নমাজ পড়া হবে।’’ এলাকায় ফ্লেক্স, ফেস্টুন লাগিয়ে মাস্ক পরা, সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার প্রচার করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে মসজিদ কমিটিগুলি।