Advertisement
E-Paper

সংক্রমণের হার না কমায় চিন্তা জেলায়

গত ২৫ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রী ‘ভার্চুয়াল’ বৈঠকে জেলায় পাঁচ শতাংশের নীচে সংক্রমণের হার নামছে না কেন, তা জানতে চান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:৪৮
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিম বর্ধমানের করোনা-পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন ভার্চুয়াল বৈঠকে। কিন্তু এখনও সংক্রমণের হার পাঁচের নীচে নামেনি। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৬ অগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই জেলায় নতুন করে ৫১৭ জনের পরীক্ষা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৪৩ জনের পজ়িটিভ ধরা পড়েছে। সংক্রমণের হার ৮.৩১ শতাংশ।

গত ২৫ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রী ‘ভার্চুয়াল’ বৈঠকে জেলায় পাঁচ শতাংশের নীচে সংক্রমণের হার নামছে না কেন, তা জানতে চান। তখন জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, অনেকে ভিন্ জেলা ও ভিন্ রাজ্য থেকে এই জেলায় এসে পরীক্ষা করাচ্ছেন। তাঁদের নামও এই জেলার সঙ্গে যোগ হয়ে যাচ্ছে। এর পরে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বহিরাগতদের চিকৎসা করতে হবে। কিন্তু তাঁদের নাম, ঠিকানা আলাদা করে লিখে রাখতে হবে।

কিন্তু কেন এই পরিস্থিত? ‘ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’-এর (আইএমএ) রানিগঞ্জ শাখার সভাপতি স্বপন চট্টোপাধ্যায় জানান, সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যাই বেশি। স্বপনবাবুর অভিযোগ, “উপসর্গহীনদের ঠিক সময়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে না। ফলে, তাঁদের সংস্পর্শে এসে অনেকেই সংক্রমিত হচ্ছেন। শুধু সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই পরীক্ষা হচ্ছে। দ্রুত বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমকে এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে হবে।” পাশাপাশি, প্রতিটি সরকারি, বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরও কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা দরকার বলে মত আইএমএ-এর কর্তাদের।

রাজ্য সরকারের কোভিড ম্যানেজমেন্ট কমিটির পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার ‘কো-অর্ডিনেটর’ সমরেন্দ্রকুমার বসু জানান, গত ১৮ অগস্ট দুই জেলায় আরও একটি করে কোভিড হাসপাতাল চালু করা-সহ কিছু প্রস্তাব তাঁরা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে পাঠিয়েছেন। তাঁর দাবি, সে সব প্রস্তাব কার্যকর করার প্রয়াস শুরু হয়েছে। জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি অবশ্য বুধবারও জানান, সমীক্ষা করতে দেখা যাচ্ছে আক্রান্তদের ২৫ শতাংশ ভিন্ জেলা ও ভিন্ রাজ্য থেকে এসেছেন। তাঁদের নাম, ঠিকানা আলাদা করে লেখা হচ্ছে। দুই জেলায় একটি করে নতুন কোভিড হাসপাতাল চালু করা হবে। এ ছাড়া, সচেতনতামূলক প্রচারে আরও জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন পূর্ণেন্দুবাবু।

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy