Advertisement
০২ মে ২০২৪
Dead Body Recovered

মিলল তৃণমূল নেতার পচাগলা দেহ

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক ধরে মিঠুন নিজের গ্রামে শাসক দলের বুথ সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।

এখানেই মিলেছিল দেহ।

এখানেই মিলেছিল দেহ। নিজস্ব চিত্র ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পূর্বস্থলী শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:২৭
Share: Save:

সর্ষে খেত থেকে এক তৃণমূল নেতার দেহ উদ্ধার হয়েছে রবিবার, পূর্বস্থলী ২ ব্লকের কালেখাঁতলা ১ পঞ্চায়েতের মুড়াগাছা বৈষ্ণবপাড়া এলাকায়। মৃত মিঠুন মাহাতো (৩০) কালেখাঁতলা ২ পঞ্চায়েতের লোহাচুর গ্রামের বাসিন্দা। ওই গ্রামের ২৪২ নম্বর বুথের সভাপতি ছিলেন তিনি। তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, ওই নেতার মৃত্যুর পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে। যদিও অভিযোগ মানেনি বিজেপি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক ধরে মিঠুন নিজের গ্রামে শাসক দলের বুথ সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। মাস খানেক আগে তাঁর স্ত্রী দশ মাসের সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান। এর পরেই নিখোঁজ হন মিঠুন। পরিবারের লোকজনেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করেও তাঁর সন্ধান পাননি। পূর্বস্থলী থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করেন তাঁরা। এ দিন তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে একটি জমিতে সর্ষে কাটার কাজ চলছিল। জমির মাঝামাঝি জায়গা থেকে দুর্গন্ধ পান খেতমজুরেরা। গিয়ে দেখা যায়, জমিতে পড়ে রয়েছে পচাগলা একটি দেহ। ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছয় পূর্বস্থলী থানার পুলিশ। নিখোঁজের পরিবারের লোকজনও দেহটিকে দেখতে আসেন। মৃত তৃণমূল নেতার ভাই লিটন মাহাতো বলেন, ‘‘এক জনের ফোন পেয়ে মাঠে ছুটে যাই। আধার কার্ড, দাদার জুতো দেখে চিনতে পারি। মাস খানেক আগে দাদা নিখোঁজ হয়েছিল। কী করে যে এমন ঘটনা ঘটে গেল বুঝতে পারছি না।’’

আর এক আত্মীয় গণেশ মাহাতোর দাবি, দলের কাজ করার পাশপাশি স্বাস্থ্যবিমায় যাঁদের চিকিৎসা হতো, সেই রোগীদের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যেতেন মিঠুন। তাঁর দাবি, ‘‘আত্মহত্যা করার ছেলে নয় মিঠুন। কেউ মেরে ওকে ফেলে দিয়ে চলে যেতেও পারে।’’ তৃণমূলের কালেখাঁতলা ২-এর অঞ্চল সভাপতি সমীর সাহা জানিয়েছেন, এক সময় লোহাচুর গ্রামের বুথটি বিজেপির শক্তিশালী ঘাঁটি ছিল। কিন্তু বছর ছয়েক ধরেই তা তৃণমূলের দখলে। এর পিছনে মিঠুনের অনেকখানি আবদান রয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ঘটনাটির পিছনে চক্রান্ত রয়েছে। ও আত্মহত্যা করলে বাড়িতে করতে পারত। এত দূরে কেন যাবে? আমাদের সন্দেহ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি হয়েছে মিঠুন।’’ তাঁর আরও দাবি, মিঠুন যেখানে আড্ডা দিতে যেতেন সেটি বাড়ি থেকে প্রায় ৪০০ মিটার দূরে চাঁপাতলা এলাকায়। বিজেপির দখলে থাকা কালেখাঁতলা ১ পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে সেটি। সেখানে কিছু গোলমাল হয়ে থাকতে পারে অনুমান তাঁর।

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সমর দাসের দাবি, ‘‘সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করছে তৃণমূল। তদন্ত হলেই সত্যিটা সামনে আসবে। ঘটনার আমাদের দলের কোনও যোগ নেই।’’ পুলিশ জানায়, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Purbasthali Tmc Leader
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE