Advertisement
E-Paper

Purbasthali: ভরা নদীতে বিপজ্জনক পারাপার, সেতুর দাবি

প্রতিদিন দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামের মানুষজন ঘাট পেরিয়ে উল্টো দিকে মন্তেশ্বর, কুসুমগ্রাম, মালডাঙা, বর্ধমান-সহ নানা এলাকায় যাতায়াত করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২১ ০৬:৫১
পূর্বস্থলী ও মন্তেশ্বরের মাঝে খড়ি নদী পারাপার।

পূর্বস্থলী ও মন্তেশ্বরের মাঝে খড়ি নদী পারাপার। নিজস্ব চিত্র।

নদীর এক পাড়ে পূর্বস্থলীর দোগাছিয়া এলাকা। অন্য পাড়ে মন্তেশ্বরের কাইগ্রাম। গরমে নদীতে জল কম থাকলে দু’দিকের মধ্যে যাতায়াত হয় বাঁশের সাঁকো দিয়ে। বর্ষায় ভরা নদীতে ভরসা দড়ি ধরে টেনে নিয়ে যাওয়া নৌকা। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে খড়ি নদীতে এই এলাকায় সেতুর দাবি জানানো হলেও, কাজের কাজ হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পূর্বস্থলী দিকে যে ঘাট রয়েছে, তা সুটরা ঘাট নামে পরিচিত। প্রতিদিন দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামের মানুষজন ঘাট পেরিয়ে উল্টো দিকে মন্তেশ্বর, কুসুমগ্রাম, মালডাঙা, বর্ধমান-সহ নানা এলাকায় যাতায়াত করেন। আবার, মন্তেশ্বরের দিক থেকে অনেকে নবদ্বীপ, পূর্বস্থলী-সহ নানা জায়গায় পৌঁছন ঘাট পেরিয়ে। স্কুল খোলা থাকলে নদী পেরিয়ে যাতায়াত করে বহু ছাত্রছাত্রীও। বাসিন্দাদের দাবি, দু’দিকেই ঘাটের পরিকাঠামো ভাল নয়। নৌকায় উঠতে সমস্যায় পড়েন বয়স্ক মানুষেরা। বাঁশের মাচা দিয়ে কষ্ট করে নৌকায় তুলতে হয় মোটরবাইক, সাইকেল। বর্ষায় নদীতে প্রতিবারই জল বাড়ে। তখন দুই পাড়ে দু’টি গাছের মধ্যে দড়ি বাঁধা হয়। লম্বা ওই দড়ি ধরে মাঝি এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে পারাপার করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় বাগের কথায়, ‘‘ঘুরপথে যেতে অনেক সময় লাগে। তাই মন্তেশ্বর ও পূর্বস্থলী ১ ব্লকের মানুষজন খড়ি নদী পেরিয়ে যাতায়াত করেন। বর্ষায় পারাপারে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। বহু বছর ধরে পাকা সেতুর দাবি জানিয়ে আসছি আমরা। ভোটের সময়ে নানা দল এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিলেও, কাজের কাজ কিছু হয়নি।’’ আর এক বাসিন্দা কৃষ্ণ দাসের দাবি, ‘‘ব্যবসার মালপত্র আনতে ঝুঁকি নিয়ে ভরা নদী পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয়। সেতু হলে এলাকার মানুষের হয়রানি কমবে।’’ এক নৌকার মাঝি পলাশ ঘোষের অবশ্য দাবি, ‘‘বড় বিপদ যাতে না ঘটে, সে জন্য লাইফ জ্যাকেট, অতিরিক্ত দু’জন মাঝিকে তৈরি রাখা-সহ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’

খড়ি নদীতে সেতু তৈরির প্রয়োজনের কথা মানছেন পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ওই এলাকায় সেতু তৈরির জন্য এক বার মাটি পরীক্ষা হয়েছিল। দুই এলাকার মানুষের দাবিদাওয়ার বিষয়টি আমি বিধানসভায় জানাব।’’

flyover Purbasthali
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy