তখনও ওঠেনি অবস্থান-বিক্ষোভ। রামনগর কোলিয়ারিতে। নিজস্ব চিত্র।
তিন মাস বেতন বাকি। মিলছে না ন্যূনতম মজুরিও। এই অভিযোগে মঙ্গলবার কাজ বন্ধ রেখে অবস্থান-বিক্ষোভে বসলেন ইস্কোর রামনগর কোলিয়ারিতে কর্মরত বেসরকারি ঠিকা সংস্থার নিরাপত্তা রক্ষীরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার।
কোলিয়ারির ম্যানেজারের কার্যালয়ের সামনে এ দিন সকাল থেকেই প্ল্যাকার্ড হাতে পরস্পরের থেকে দূরত্ববিধি রক্ষা করে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন শতাধিক রক্ষী। বিক্ষোভকারীদের তরফে ইরফান খান, অনূপ রায়দের অভিযোগ, ‘‘আমরা কেউ ন্যূনতম মজূরি পাচ্ছি না। তিন মাস বেতন বাকি। অনেককেই মাসিক বেতনের পুরো টাকা না দিয়ে কিছু টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কেন টাকা কাটা হচ্ছে, তা জানাচ্ছেন না ঠিকাদার।’’
এ দিন কর্মস্থলে আসেননি ঠিকাদার রামাধর শর্মা। খনির পাশে একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে তাঁর দেখা মেলে। তাঁর দাবি, ‘‘আমার অধীনে প্রায় ১৩৩ জন রক্ষী কাজ করেন। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ আমাকে মাত্র ৯৭ জন কর্মীর বেতনের টাকা দিচ্ছেন। ফলে, ৯৭ জনের টাকা ১৩৩ জনের মধ্যে ভাগ করে দিতে হয় বলে সমস্যা হচ্ছে।’’
এ দিকে, খনি সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯৭ জনের টাকা দেওয়া হবে, এই মর্মেই চুক্তি রয়েছে ঠিকাদারের সঙ্গে। তা হলে কেন ১৩৩ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে? রামাধরবাবুর দাবি, ‘‘আগের ঠিকা সংস্থায় ১৩৩ জন কাজ করতেন। আমি দায়িত্ব পাওয়ার পরে, উদ্বৃত্ত শ্রমিকদের বসিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আজকের বিক্ষোভকারীরাই সে দিন ছাঁটাইয়ে বাধা দিয়েছিলেন।’’ তবে তাঁর আশ্বাস, ‘‘আলোচনা চলছে। দ্রুত সমস্যা মিটবে।’’
বিষয়টি নিয়ে কোলিয়ারির ম্যানেজার এল কে ভরদ্বাজের অবশ্য প্রতিক্রিয়া, ‘‘সমস্যাটি ঠিকাদারের। আমাদের কিছু বলার নেই।’’ তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খনি-কর্তাদের একাংশের দাবি, দ্রুত রক্ষীরা কাজে যোগ না দিলে নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ, সন্ধ্যার পর থেকে অনেক সময়েই ‘কয়লা চোর’দের উৎপাত দেখা যায় এলাকায়। যদিও, এ দিন রাত পর্যন্ত রক্ষীরা কাজে যোগ দেননি। তাঁরা এ-ও জানান, ন্যূনতম মজুরি ও বকেয়া বেতন না দিলে, বিক্ষোভ উঠবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy