দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেডে মঙ্গলবার। —নিজস্ব চিত্র।
চাকরির দাবিতে এক মাসের বেশি সময় ধরে টানা আন্দোলন করছেন দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেডের (ডিপিএল) কর্মরত অবস্থায় মৃত কর্মীদের পোষ্যেরা। এ দিন প্রশাসনিক ভবনের সামনের মূল গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। শেষমেশ পুলিশ ও ডিপিএলের আধিকারিকদের মধ্যস্থতায় ঘণ্টা দুয়েক পরে তাঁরা ফের পুরনো জায়গায় গিয়ে অবস্থান শুরু করেন।
চাকরির দাবিতে গত ২৪ জানুয়ারি থেকে তাঁরা কারখানার সামনে বাইরে টানা অবস্থান শুরু করেছেন। শেষ ১৯ দিন তাঁরা রিলে অনশন করছেন। কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও ‘সাড়া’ না পেয়ে গত শনিবার গেটের ভিতরে ঢুকে আন্দোলন শুরু করেন মৃত কর্মীদের নিকটাত্মীয়েরা। পুলিশ এসে তাঁদের ১৪৪ ধারা জারির কথা বলে গেটের বাইরে যেতে বললেও লাভ হয়নি। শেষমেশ আন্দোলনকারীরা জানতে পারেন, মঙ্গলবার সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর আশিস সাহা আসবেন। তাঁর সঙ্গে আলোচনার কথা ছিল আন্দোলনকারীদের।
বিক্ষোভকারীরা জানান, এ দিন সকালে জানা যায়, ম্যানেজিং ডিরেক্টর আসেননি। এর পরেই আন্দোলনকারীরা মূল গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। যদিও পাশের ছোট গেটটি খোলা থাকায় ভিতরে ঢোকা-বেরনোয় অসুবিধা হয়নি কারও। কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত আশ্বাস না মেলা পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান আন্দোলনকারীরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ আসে। পুলিশ তাঁদের সরে যেতে বললেও আন্দোলনকারীরা অনড় থাকেন।
শেষমেশ পুলিশ ও ডিপিএলের প্রতিনিধিরা তাঁদের জানান, বৃহস্পতিবার মহকুমাশাসকের (দুর্গাপুর) কার্যালয়ে ডিপিএল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের উপস্থিতিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক হবে। ঠিক হয়, সেখানে দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনা হবে। আন্দোলনকারীদের তরফে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, এর পরেই তাঁরা গেটের সামনে থেকে সরে গিয়ে তাঁদের পুরনো জায়গায় (কারখানার সামনে রাস্তার ধারে) ফের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ইতিবাচক কোনও বার্তা না পেলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন করব।’’ ডিপিএল কর্তৃপক্ষ জানান, সংস্থাকে রাজ্যের অন্য বিদ্যুৎ সংস্থার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু চলছে। এমন পরিস্থিতিতে পোষ্যদের চাকরি দেওয়ার বিষয়টি আরও জটিল হয়ে গিয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আশা করা হচ্ছে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy