Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Government Hospital

হাসপাতালে টাকা কেন, প্রশ্ন মন্ত্রীরও

গত বুধবার ইস্পাতমন্ত্রী হাসপাতালটির উদ্বোধন করে জানান, সেখানে ইস্কোর ঠিকাকর্মী ও স্থানীয় গরিব মানুষদের চিকিৎসায় জোর দেওয়া হবে।

বিতর্ক যেখানে। নিজস্ব চিত্র।

বিতর্ক যেখানে। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বার্নপুর শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২১ ০৬:১৫
Share: Save:

ইস্কো ও জেলা প্রশাসনের তৈরি বার্নপুরের কোভিড হাসপাতালে টাকা নিয়ে রোগী ভর্তির বিষয়ে এ বার প্রশ্ন তুলে দিলেন আসানসোল উত্তরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকও। সে সঙ্গে, এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবারই কেন্দ্রীয় ইস্পাতমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি দেওয়ার কথা জানিয়েছে আইএনটিইউসি। আন্দোলনের প্রস্তুতি চলছে, জানিয়েছে সিটু।

শনিবার মলয়বাবু বলেন, ‘‘বার্নপুরের ওই হাসপাতালে তবে যদি টাকা চাওয়ার কথা বলা হয়ে থাকলে, তা কোনও ভাবেই হতে পারে না।’’ তবে এই হাসপাতালের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের সংযোগ বিষয়ে তাঁর সংযোজন: ‘‘ঠিকমতো জানি না। অবশ্যই খোঁজ-খবর করছি।’’

গত বুধবার ইস্পাতমন্ত্রী হাসপাতালটির উদ্বোধন করে জানান, সেখানে ইস্কোর ঠিকাকর্মী ও স্থানীয় গরিব মানুষদের চিকিৎসায় জোর দেওয়া হবে। কিন্তু এর পরেই হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবার দায়িত্বপ্রাপ্ত দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতাল জানিয়ে দেয়, থাকাখাওয়া, চিকিৎসা এবং ওষুধ পিছু প্রত্যেক রোগীকে দৈনিক তিন হাজার টাকা দিতে হবে। যদি কাউকে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়, তবে দৈনিক পাঁচ হাজার টাকা দিতে হবে।

এ দিকে, টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে তাঁরা সাংগঠনিক ভাবে কেন্দ্রীয় ইস্পাতমন্ত্রীকে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছেন বলে জানান আইএনটিইউসি-র কেন্দ্রীয় সম্পাদক হরজিৎ সিংহ। তিনি বলেন, ‘‘ইস্কোর তৈরি করা পরিকাঠামো ব্যবহার করে, কোনও বেসরকারি সংস্থাকে লাভ পাইয়ে দেওয়া যাবে না। সামাজিক কর্তব্য পালনের অঙ্গ হিসেবে বিনামূল্যে গরিব মানুষের চিকিৎসা করতে হবে।’’ সিটুর জেলা সম্পাদক বংশগোপাল চৌধুরী বলেন, ‘‘আমরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি যৌথ আন্দোলনে নামব। দুই সরকারের তরফেই জনকল্যাণের বদলে, বেসরকারি সংস্থাকে অর্থ রোজগারের পথ করে দেওয়া হচ্ছে।’’

কিন্তু সরকারের তৈরি হাসপাতালে টাকা চাওয়া হচ্ছে কী ভাবে, তা নিয়ে ধন্দ কাটেনি এ দিন পর্যন্তও। ইস্কোর ইডি (পি অ্যান্ড এ) অনুপ কুমার আগেই জানিয়েছিলেন, তাঁরা হাসপাতাল তৈরি করে জেলা প্রশাসনকে হস্তান্তর করেছেন। তাই এ নিয়ে তাঁরা কিছু জানেন না। শনিবার জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) বিভু গোয়েল অবশ্য দাবি করেন, ‘‘ইস্কোর তরফে চিঠি পেয়েছি। কিন্তু রাজ্য সরকার হাসপাতালের দায়িত্ব নেয়নি!’’

কেন টাকা নেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য হাসপাতালটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি হাসপাতালের সিএমডি অরুণাংশু গঙ্গোপাধ্যায়কে বারবার ফোন করা হলেও জবাব মেলেনি। রাত পর্যন্ত উত্তর মেলেনি এসএমএস-এরও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Government Hospital
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE