পণ না-পেয়ে রাগের বশে স্ত্রীকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়েছিলেন। পাঁচ বছর পর অভিযুক্ত স্বামীর শাস্তি ঘোষণা করল দুর্গাপুর মহকুমা আদালত। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হল। সেই সঙ্গে ১৫ হাজার টাকা জরিমানাও দিতে বলা হয়েছে অভিযুক্তকে।
দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বুদবুদ থানা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন সোনামণি কিস্কু। ২০২০ সালে তাঁর সঙ্গে বুদবুদের ভাতকুণ্ডা এলাকার বাসিন্দা সুনীল কিস্কুর বিয়ে হয়। কিন্তু সোনামণির পরিবার পণ দিতে পারেনি। অভিযোগ, এর ফলে শ্বশুরবাড়িতে লাগাতার অত্যাচারের শিকার হতেন ওই আদিবাসী তরুণী। প্রায় প্রতি দিন পণের জন্য তাঁকে স্বামী মারধর করতেন। রাগের মাথায় এক দিন স্ত্রীর দিকে তিনি ধারালো কুড়়ুল নিয়ে তেড়ে যান। একাধিক বার কোপ মারেন। ঘটনাস্থলেই সোনামণির মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন:
ঘটনার পর বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত সুনীল। তাঁকে ধরতে প্রায় দু’মাস লেগেছিল পুলিশের। এর পর দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে শুরু হয় বিচারপ্রক্রিয়া। পাঁচ বছর ধরে সেই মামলার শুনানি চলেছে। মঙ্গলবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন দুর্গাপুর আদালতের বিচারক প্রশান্ত চৌধুরী। বুধবার তিনি সাজা ঘোষণা করেছেন।
আদালত জানিয়েছে, যাবজ্জীবন কারাবাস করতে হবে সুনীলকে। জরিমানা হিসাবে দিতে হবে ১৫ হাজার টাকা। এই অর্থ না দিতে পারলে আরও ছ’মাস তাঁকে জেল খাটতে হবে। এই রায়ে খুশি নিহত বধূর পরিবার।