দুয়ারে সরকার কর্মসূচি।
‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির সূচনা হল পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলাতে। পূর্ব বর্ধমানের মোট ১৮ টি শিবিরে মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু হল। এরমধ্যে বর্ধমান শহরে রয়েছে ২টি। এই কর্মসূচির মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ১১টি প্রকল্পের সুযোগ বাড়ির কাছের ক্যাম্পে গিয়ে নিতে পারবেন উপভোক্তারা। এর মধ্যে স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, কৃষকবন্ধু বা কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্পগুলি রয়েছে।
প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা এই প্রকল্পের দেখভাল করছেন। বর্ধমান পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক অমিত গুহ বলেছেন, ‘‘তিনটি ভ্রাম্যমান প্রচার গাড়ি গোটা শহরে প্রচার করছে। গতকাল সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষদের জানানো হয়েছে। আজ ১০টা থেকে ক্যাম্প করে কাজ শুরু হয়েছে।’’ বর্ধমানের সদর মহকুমাশাসক (উত্তর) দীপ্তার্ক বসু বলেছেন, ‘‘আজ কর্মসূচি শুরু হল। এখানে উপভোক্তারা আসছেন। তাঁরা প্রকল্পগুলি সম্পর্কে জানতে পারবেন। নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। এ ছাড়া কোনও অভিযোগ থাকলে তাও নথিভুক্ত করা হবে। পরবর্তী পর্যায়ে অভিযোগগুলির যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল পুরো নিগমের অন্তর্গত ১৩টি ওয়ার্ডে বাসিন্দাদের জন্য বিজপুর এবং বোরিংডাঙ্গা হাই স্কুল এ ২টি ক্যাম্প করা হয়েছে। এ ছাড়া রুপনারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, দুর্গাপুর- ফরিদপুর ও কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্যাম্প হচ্ছে। পশ্চিম বর্ধমানের জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাজি নিজে কাঁকসা ব্লকে ‘দুয়ারে সরকার’-এর ক্যাম্পে মঙ্গলবার তদারকি করেন। সকাল থেকেই এলাকার সাধারণ মানুষ জন এই ক্যাম্পে আসেন। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, কাস্ট সার্টিফিকেট, রুপশ্রী- কন্যাশ্রী সহ বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য সাধারণ মানুষ তাদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। সালানপুরের বিডিও অদিতি বসু বলেছেন, ‘‘ সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধার জন্য সকাল থেকেই ক্যাম্প করা হচ্ছে। সমস্ত মানুষ যেন সব সুবিধা পায় তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy