Advertisement
E-Paper

চাষির মৃত্যু, আলুতে ক্ষতিকে দুষল পরিবার

চাষি মৃত্যুর ঘটনা ঘটল রায়নায়। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে কীটনাশক পান করে আত্মঘাতী হন গুনাড় গ্রামের বাসিন্দা আলুচাষি সিদ্ধার্থ যশ (৪৩)। পরিবারের দাবি, আলু চাষে লোকসানের জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন সিদ্ধার্থবাবু। শুক্রবার বিকেলে সিদ্ধার্থবাবুর জামাই সুমন্ত সামন্ত জানান, তাঁর শ্বশুর প্রায় ৮ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৫ ০০:০০

চাষি মৃত্যুর ঘটনা ঘটল রায়নায়। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে কীটনাশক পান করে আত্মঘাতী হন গুনাড় গ্রামের বাসিন্দা আলুচাষি সিদ্ধার্থ যশ (৪৩)। পরিবারের দাবি, আলু চাষে লোকসানের জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন সিদ্ধার্থবাবু।

শুক্রবার বিকেলে সিদ্ধার্থবাবুর জামাই সুমন্ত সামন্ত জানান, তাঁর শ্বশুর প্রায় ৮ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেন। পরিবারের দাবি, আলু চাষ করতে গিয়ে সিদ্ধার্থবাবুকে মহাজনের কাছ থেকে প্রায় ৮০ হাজার টাকা ঋণ করতে হয়। এ ছাড়াও সার, কীটনাশক, বীজ প্রভৃতি কিনতে গিয়েও বাজার থেকে বেশকিছু ধার হয় ওই চাষীর। এ বার আলুর ফলনও বেশি। হিমঘরে প্রায় ৪০০ বস্তা আলু থাকলেও তা বিক্রি করা যায়নি বলে সুমন্তবাবুর দাবি।

মৃতের আত্মীয় শুভাশিস জানার দাবি, শুক্রবার গ্রামের সবার সামনেই মহাজন সিদ্ধার্থবাবুকে পাওনা টাকার জন্য তাগাদা দেন। ওই দিন দুপুরেই বাড়ির পাশের একটি বাগানবাড়ির কাছে কীটনাশক পান করেন সিদ্ধার্থবাবু। সিদ্ধার্থবাবুকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে ওই দিন রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।

যদিও আলু চাষে লোকসানের কথা মানতে চাননি জামালপুরের বিধায়ক উজ্জ্বল প্রামাণিক। উজ্জ্বলবাবু বলেন, ‘‘সম্ভবত পারিবারিক কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই চাষি। তবে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হবে।’’ উজ্জ্বলবাবুর দাবি, সাধারণত বিঘা প্রতি ৭০ থেকে ৮০ বস্তা আলু হয়। এ বার ১০০ বস্তার মতো হয়েছে। কিন্তু তার জেরে চাষিদের তেমন ক্ষতি হয়নি বলেই মত উজ্জ্বলবাবুর। বিডিও তপন হালদারের দাবি, ‘‘সিদ্ধার্থ যশ নামে কোনও আলুচাষির মৃত্যুর কথা জানা নেই। তবে বিস্তারিত খবর নেওয়া হবে।’’

Bardhaman Farmer kalna Police potato
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy