Advertisement
E-Paper

শীতের কাঁপুনি উধাও, রবি শস্য নিয়ে চিন্তায় কৃষকেরা

যে সব এলাকায় চাষিদের নিজেদের সেচের ব্যবস্থা রয়েছে, তাঁরা মূলত রবি শস্যের চাষ করে থাকেন। সে কারণে কাঁকসা ব্লকে মূলত এই চাষ হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:৪০
ত্রিলোকচন্দ্রপুরে ধানজমিতে বীজতলা। নিজস্ব চিত্র

ত্রিলোকচন্দ্রপুরে ধানজমিতে বীজতলা। নিজস্ব চিত্র

শীতের কাঁপুনি খুব একটা নেই দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। বরং বেড়েছে কুয়াশার দাপট। পশ্চিম বর্ধমানেও একই পরিস্থিতি। শীত কমলে রবি চাষে গাছের বৃদ্ধি মার খেতে পারে। এ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন জেলার চাষিদের একাংশ। তবে কৃষি দফতরের মতে, এখনই চিন্তার কিছু নেই।

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সেচের অভাবের কারণে রবি মরসুমে খুব বেশি চাষ হয় না জেলায়। ফলে, যে সব এলাকায় চাষিদের নিজেদের সেচের ব্যবস্থা রয়েছে, তাঁরা মূলত রবি শস্যের চাষ করে থাকেন। সে কারণে কাঁকসা ব্লকে মূলত এই চাষ হয়। ব্লকের আমলাজোড়া, বিদবিহার, ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতে বেশি রবি শস্যের চাষ হয়।

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ সময় কাঁকসা ব্লকে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে রবিশস্য সর্ষের চাষ করা হয় প্রতি বছর। এ বছরও প্রায় একই পরিমাণ চাষ হচ্ছে। গম ও আলু চাষ হয় যথাক্রমে প্রায় ৬০০ ও ২৫০ হেক্টর জমিতে। চাষিরা জানাচ্ছেন, এ সময় যত ঠান্ডা পড়বে, ওই সব ফসলের বৃদ্ধি তত হবে এবং রোগ-পোকার আক্রমণও কমবে। ঠান্ডার পাশাপাশি রোদেরও প্রয়োজন হয়। কিন্তু কয়েক দিন রোদের জোরও অনেকটাই কমেছে। এই অবস্থায় ফসলের বৃদ্ধি কিছুটা মার খেতে পারে বলে আশঙ্কা চাষিদের। আমলাজোড়ার দেবনাথ চৌধুরী, স্বরূপ ঘোষদের অভিজ্ঞতা, “গত বারও এই সময়ে শীত কমে গিয়েছিল। নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি হয়েছিল। আলু চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয় সে বার। এ বার এখনও বৃষ্টি হয়নি ঠিকই। কিন্তু এমন আবহাওয়া থাকলে রবি-চাষে ক্ষতি হতে পারে।” তবে কৃষি দফতরের আশ্বাস, এখনই আশঙ্কার কিছু নেই। কয়েক দিনে আবহাওয়ার পরিবর্তন হলেইপরিস্থিতি পাল্টাবে।

কথায় আছে কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ! এমন আবহাওয়া বোরো চাষের পক্ষে সহায়ক। কারণ, শীত কমলে ধানের বীজতলার বৃদ্ধি ভাল হয়। কাঁকসা ব্লকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এ বছর সেচখালের জল না মেলায়, ধান চাষের এলাকা অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করছেন কৃষিকর্তারা। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গরমে ধানের বৃদ্ধি ভাল হয়, সে কারণে বীজতলা তৈরির এটা আদর্শ সময়। কারণ, ঠান্ডার হাত থেকে বীজকে বাঁচাতে চাষিরা বীজ ছড়ানোর পরে ছাইয়ের আস্তরণ দেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে খুব একটা সমস্যা হবে না। কাঁকসার চাষি শ্রীরূপ মণ্ডল, তাপস মাজিরা বলেন, “এখনও পর্যন্ত বোরো ধানের বীজের বৃদ্ধিতে কোনও সমস্যা হয়নি।”

ব্লক কৃষি আধিকারিক অনির্বাণ বিশ্বাস বলেন, “এই আবহাওয়ায় ধান বীজের বৃদ্ধি ভাল হবে। পাশাপাশি, রবি ফসলের দিকেও চাষিকে নজর রাখতে হবে।”

Rabi Crops East Bardhaman Kanksa
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy