অর্ণব দেবনাথ। নিজস্ব চিত্র
রাগের মাথায় রান্নার গ্যাসের পাইপ খুলে আগুন ধরিয়ে এক বছরের নাতিকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করলেন ঠাকুমা। এমনই অভিযোগ উঠল দুর্গাপুরের নাগার্জুন রোড এলাকায়। অর্ণব দেবনাথ নামের ওই শিশুটির দেহের বেশির ভাগ অংশই পুড়ে গিয়েছে। আপাতত দুর্গাপুরেরই একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে শিশুটি। অভিযুক্ত ভারতী দেবনাথের দেহও সামান্য পুড়েছে। তিনি দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনার সময় অর্ণব তার বাবা সুব্রতের কোলে ঘুমোচ্ছিল। তখনই পারিবারিক অশান্তি চরমে ওঠে। সেই সময় আচমকাই সুব্রতের মা ভারতী রান্নার গ্যাসের পাইপ খুলে দেশলাই দিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন। এর জেরে অর্ণবের হাত, মুখ, পেট পুড়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন অর্ণবের বাবাও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতীর সঙ্গে সুব্রত এবং তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক মোটেও ভাল নয়। ২০১৩ সালে ছেলের বিয়ের পর থেকেই মাঝে মাঝেই অশান্তি লেগে থাকে। সুব্রতের স্ত্রীকে পছন্দ করেন না ভারতী। অর্ণব হওয়ার পর সেই রাগ গিয়ে পড়ে ছোট্ট শিশুটির উপর। ইতিমধ্যে দুর্গাপুর থানায় এই ঘটনায় ভারতীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সুব্রত। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পশ্চিম) অভিষেক গুপ্ত বলেন, ‘‘বাচ্চাটির ঠাকুমার নামে ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করা হয়েছে। বাচ্চাটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এখন অনেকটা ভাল আছে। পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্ত ঠাকুমাও আংশিক পুড়ে গিয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সামান্য সুস্থ হলেই ওঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy