প্রায় ১১ ঘণ্টা পরে উদ্ধার করা হল ইসিএলের পরিত্যক্ত ভূগর্ভস্থ খনিতে ‘পড়ে যাওয়া’ এক তরুণকে। পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার শ্রীপুর দু’নম্বর কোলিয়ারি এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা নাগাদ ওই তরুণকে ভূপৃষ্ঠের প্রায় ১৪০ ফুট নীচ থেকে উদ্ধার করা হয়। আসানসোল জেলা হাসপাতালে তার প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। সে সুস্থ আছে।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া, বছর ১৬-র ওই তরুণ মামার বাড়িতে থাকে। সে অদূরে পরিত্যক্ত খনিমুখে ‘ঝাঁপ দিয়েছে’ বলে সোমবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এলাকায় খবর ছড়ায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ, ইসিএলের প্রতিনিধি, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রতিনিধিরা। রাত ৮টা নাগাদ ইসিএলের উদ্ধারকারী দল ওই তরুণকে উদ্ধারের কাজ শুরু করে।
শ্রীপুর ভূগর্ভস্থ কোলিয়ারি দু’দশক আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেখানে যাতে কেউ যেতে না পারে, সে জন্য পরে ভূগর্ভে নামার খনিমুখ ১২ ফুট উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। এখন ওই এলাকা ঝোপঝাড়ে ভরা। তা হলে, শ্রীপুরের ওই তরুণ সে পাঁচিল পেরোল কী করে? প্রাথমিক তদন্তের পরে ইসিএলের অনুমান, সম্ভবত দুষ্কৃতীরা পাঁচিলের একাংশ গোল করে কেটে ভিতরে যাওয়ার রাস্তা তৈরি করেছে। ওই তরুণ সে পথে খনিমুখে পৌঁছে ‘ঝাঁপ’ দিয়ে থাকতে পারে বা পড়ে গিয়ে
থাকতে পারে।