একেই বলে বজ্রআঁটুনি, ফস্কা গেরো! বর্ধমান স্টেশনে জিআরপি ও আরপিএফের নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকা রেল আদালতে চুরির ঘটনা ঘটল। আদালত সূত্রে খবর, আদালতের দরজার তালা ভেঙে সেখান থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরি করা হয়েছে। তবে চুরির উদ্দেশ্য নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কারণ, চোর কোনও বিক্রয়যোগ্য জিনিসপত্র চুরি করেনি। চুরি হয়েছে আদালতের নথিপত্র। স্বাভাবিক ভাবে মামলা সংক্রান্ত নথি লোপাট করতেই পরিকল্পিত ভাবে এই চুরি বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার বিষয়ে রেলওয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের এক কর্মী জিআরপিতে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতে কেস রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে জিআরপি। যদিও ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে আদালতের কর্মী কোর্টে গিয়ে দেখেন দরজার তালা ভাঙা। ভিতর থেকে কিছু নথিপত্র চুরি হয়ে গিয়েছে। আদালত কক্ষ থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে জিআরপির অফিস। স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফের্মই রয়েছে আরপিএফের পোস্ট। যাত্রী এবং ট্রেনের নিরাপত্তায় চলে জিআরপি ও আরপিএফের টহল। তারই মধ্যে তালা ভেঙে আদালতের নথি চুরি যাওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জিআরপির এক অফিসার বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। চুরির কিনারায় সব ধরণের চেষ্টা চলছে।’’
এই ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেন বর্ধমান আদালতের আইনজীবী। আইনজীবী সদন তা ও সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘‘কোনও প্রভাবশালীর কাজ হতে পারে। এত নিরাপত্তার মধ্যে কী করে চুরি হয়? সেখানে কোনও দামি জিনিসপত্র চুরি হয়নি। শুধুমাত্র নথি চুরি হয়েছে। এতেই প্রমাণিত, মামলাকে নষ্ট করতেই চুরি করা হয়েছে।’’ একই কথা বলেন আইনজীবী অভিজিৎ ভট্টাচার্যও।