প্রতীকী ছবি।
কেতুগ্রামে রেণু খাতুনের ডান হাতের কব্জি কেটের নেওয়ার ঘটনার রেশ কাটতে না-কাটতেই আরও এক নার্সের উপর হামলার অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। ভয়াবহতার মাপকাঠিতে তা রেণুর মতো না হলেও সেই নার্সিংয়ের কাজেই আপত্তি দেখিয়ে বধূকে মারধর, শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা এবং তাঁর চাকরির কাগজপত্র ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাটিও পূর্ব বর্ধমানের। ওই বধূর অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত স্বামী রাহুল মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে শক্তিগড় থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রেমের সম্পর্ক থেকেই বছরখানেক আগে বিয়ে হয় জোতরামের বাসিন্দা রাহুলের সঙ্গে খণ্ডঘোষ থানার কালনা গ্রামের বাসিন্দা নীলকান্ত চট্টরাজের মেয়ে ব্রততীর। তাঁদের দু’মাসের একটি ছেলে রয়েছে। বিয়ের আগে থেকেই নার্সের চাকরি করেন ব্রততী। তা নিয়েই আপত্তি ছিল রাহুলের। চাকরি ছাড়ার জন্য চাপ দেওয়া নিয়ে ব্রততীর সঙ্গে তাঁর প্রায়ই ঝামেলা হত বলে দাবি পড়শিদের।
ব্রততীর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মেয়ের নার্সের চাকরি নিয়ে আপত্তি করতে শুরু করেন রাহুল। বাপের বাড়ির সঙ্গেও ব্রততীকে যোগাযোগ করতে দিতেন না। তাঁকে প্রায়ই মারধর করা হত। শুক্রবার দুপুরে এই অত্যাচার অসহনীয় হয়ে ওঠার পরেই থানার দ্বারস্থ হন ব্রততী। অভিযোগ, ওই দিন ব্রততীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারধর করা হয়। তাঁর চাকরির কাগজপত্রও ছিঁড়ে দেওয়া হয়। ছেলে-সহ এক কাপড়ে ব্রততীকে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়েও দেওয়া হয় । এর পর রাতে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বধূ। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুনেরও চেষ্টা করা হয়।
ব্রততীর এই অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার সকালে জোতরামের বাড়ি থেকে রাহুলকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতকে বর্ধমান আদালতে হাজির করানো হলে তাঁকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy