Advertisement
E-Paper

বাড়ির সামনে দম্পতির নলিকাটা দেহ পড়ে! রক্তে ভাসল মেমারির রাস্তা, ইঞ্জিনিয়ার পুত্রের খোঁজে পুলিশ

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতদের নাম মুস্তাফিজুর রহমান এবং মমতাজ পারভিন। সম্পর্কে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। দম্পতির ইঞ্জিনিয়ার পুত্রের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর খোঁজ শুরু হয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে মেয়েকে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২৫ ১৬:৩১
Memari Double Murder Case

মেমারিতে দম্পতিকে খুনের অভিযোগ। দেহ পড়ে ছিল বাড়ির সামনে রাস্তায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।

বাড়ির ভিতরে দম্পতিকে গলা কেটে খুন করে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ। বুধবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। চলছে মৃত দম্পতির পুত্রের খোঁজ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতদের নাম মুস্তাফিজুর রহমান এবং মমতাজ পারভিন। সম্পর্কে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। মুস্তাফিজুরের বয়স ৬৬ বছর আর মমতাজ ৫৬ বছর বয়সি। মেমারি শহরের কাশিয়াড়া কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা ওই দম্পতির দুই সন্তান। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। পুত্র হুমায়ুন কবীর থাকতেন বাবা-মায়ের সঙ্গে। বুধবার সকালে বাড়ির সামনে রাস্তায় মুস্তাফিজুর ও মমতাজের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন কয়েক জন। মুহূর্তের মধ্যে হুলস্থুল শুরু হয় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ দুটো উদ্ধার ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, বাড়ির মধ্যে খুন করে দেহ দু’টি টানতে টানতে রাস্তায় নিয়ে গিয়ে ফেলা হয়েছে।

অন্য দিকে, দম্পতির দেহ উদ্ধারের পর থেকে ছেলের খোঁজ না মেলায় সন্দেহের তির তাঁর দিকেও। খোঁজ চলছে পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হুমায়ুনের। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়। জোড়া খুনের ঘটনায় ডাকা হয়েছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, মুস্তাফিজুর ও মমতাজের পুত্র হুমায়ুন বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের বেশ কিছু দিন আগে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। তাঁকে খুব একটা এলাকায় দেখা যেত না। পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়ির সামনে দম্পতির দেহ উদ্ধার হলেও ঘরের কোনও জিনিসপত্র খোয়া যায়নি। শুধু সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক নেই! মনোয়ার হোসেন নামে এক প্রতিবেশী বলেন, ‘‘স্বামী-স্ত্রীর দেহের কাছেই তাঁদের মোবাইল ফোন পড়ে ছিল। আমার ছেলের খোঁজ করি। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি।’’

পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস জানান, সকালে মেমারি থানার পুলিশের কাছে জোড়া দেহ উদ্ধারের খবর আসে। পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে যায়, তখনও রক্তাক্ত অবস্থায় দুটো দেহ পড়ে ছিল রাস্তায়। পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে। এখনই কিছু বলার সময় আসেনি। তবে মৃত দম্পতির ছেলেকে ঘটনার পর থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। ওঁদের (মৃত দম্পতি) মেয়ে বাইরে থাকেন। তাঁকে খবর পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। ইতিমধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-সহ পুলিশ আধিকারিকেরা এলাকায় গিয়েছেন।’’

Crime Double Murder Memari Husband Wife
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy