দেওয়া হচ্ছে পুরস্কার। নিজস্ব চিত্র।
দু’বছর আগেই মনোনীত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দিল্লি যেতে পারেননি বলে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার নিতে পারেননি। রাজভবনে সেই পুরস্কার পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে জেলা পুলিশের কাছে আসে পুরস্কার। রবিবার একটি অনুষ্ঠান করে ইনস্পেক্টর ইনচার্জ (আউশগ্রাম) রামকুমার মণ্ডলের হাতে ওই পুরস্কার তুলে দেন আইজি (বর্ধমান) ভরতলাল মিনা।
জানা গিয়েছে, চাকরি জীবনে টানা ভাল কাজ করার জন্যই এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। বর্ধমানের পুলিশ লাইনের অনুষ্ঠান থেকে পুলিশ সুপার (পূর্ব বর্ধমান) ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, ২০১৮ সালে রাষ্ট্রপতি পদক পেয়েছিলেন রামকুমারবাবু। এ দিন অনাড়ম্বর অনুষ্ঠান করে পুরস্কারটি তাঁকে দেওয়া হয়। আইজিও জানান, এই পুরস্কার পুলিশকে আরও ভাল কাজ করতে উৎসাহ ও অনুপ্রাণিত করবে।
সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন রামকুমারবাবু। তাঁর মা করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আউশগ্রামের ইন্সপেক্টর ইনচার্জ হিসেবে রবিবারই তাঁর শেষ দিন। বদলি হয়ে তিনি বজবজের ইন্সপেক্টর ইনচার্জ হচ্ছেন। এর আগে তিনি উত্তর ২৪ পরগনার বরানগরের অফিসার ইনচার্জ ছিলেন। সেখানে থাকার সময়েই তিনি রাষ্ট্রপতি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন।
হাওড়ার মৌরিগ্রামের বাসিন্দা রামকুমারবাবু ২৬ বছর ধরে পুলিশে চাকরি করছেন। রাজ্য সরকারের কাছ থেকেও তিনি প্রশংসা পেয়েছেন। প্রতি বছর ‘সার্ভিস বুকে’ তাঁর কর্মদক্ষতার কথা তোলা হয়েছে। রামকুমারবাবু বলেন, “বিশেষ কাজের জন্য নয়, চাকরি জীবনে ভাল কাজের জন্য আমাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই পুরস্কার পেয়ে ভাল লাগছে, উৎসাহিত বোধ করছি।’’ এ দিনের অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলাশাসক (বর্ধমান সদর) কল্যাণ সিংহ রায়, ডিএসপি (হেডকোয়ার্টার) শৌভিক পাত্ররা হাজির ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy