—নিজস্ব চিত্র।
দলের কাউন্সিলরকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় বিক্ষোভ তৃণমূলেরই! সোমবার রাতে আসানসোল পুরনিগমের কুলটি থানায় দলীয় ঝান্ডা নিয়ে মাইক লাগিয়ে থানার বড়বাবুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা ও কর্মীরা। এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন সংখ্যালঘু উন্নয়ন কমিটির নেতা আখতার হোসেন।
আখতার বলেন, “কয়েকদিন আগে রোহিত পাণ্ডে নামক এক স্থানীয় যুবককে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়। যুবককে মারধরের অভিযোগ নাকি কুলটি থানার পুলিশ নিচ্ছিল না। পরে মারধরের ছবি ভাইরাল হতেই সেই অভিযোগ নিতে বাধ্য হয় তারা।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সময় এই আখতারই কুলটি থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। আখতারের অভিযোগ, এফআইআর-এ যাঁদের নাম রয়েছে তাঁদের সবাইকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করেনি। পাশাপাশি, স্থানীয় কাউন্সিলর নাদিম আখতারকেও গ্রেফতারের দাবি তোলেন আখতার। তাঁর অভিযোগ, বাবলু কুরেশি বলে যার নাম পুলিশের এফআইআর-এর কপিতে রয়েছে সে-ই আসলে নাদিম আখতার। অন্য দিকে, তৃণমূলের স্থানীয় নেতা বিমান দত্ত বলেন, “দলের কোনও অনুমতি ছাড়াই তৃণমূলের ঝান্ডা ব্যবহার করে থানা ঘেরাও কর্মসূচি হয়েছে। দলের উচ্চ নেতৃত্বকে পুরো বিষয়টি জানাব।”
বিজেপি নেতা টিঙ্কু বর্মা বলেন, “৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের উপর মারধরের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ এফআইআর থেকে তাঁর নাম সরিয়ে দেয়। নাম সরিয়ে বাবলু কুরেশি করে দেয়। আজ তৃণমূলের তরফ থেকেই ঝান্ডা নিয়ে কুলটি থানা ঘেরাও করে তাঁর গ্রেফতারির দাবি তোলা হয়।” তিনি আরও বলেন, “অভিযোগ দায়ের হওয়ার ১৭ দিন পরেও পুলিশ ঘুমিয়ে রয়েছে। বর্তমান এবং প্রাক্তন কাউন্সিলরের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে।। কুলটিতে হচ্ছেটা কী? পুলিশ প্রশাসনকে এর জবাব দিতে হবে। তৃণমূলকে এর জবাব দিতে হবে।”
ডিসিপি পশ্চিম সন্দীপ কররা বলেন, “পুরো বিষয়টি আমি শুনেছি। গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে তদন্ত করা হবে।”
কুলটি থানার এক আধিকারিক বলেন, “এফআইআর-এ যাঁর নাম রয়েছে তাঁর নামেই মামলা চলছে। সিসিটিভি ফুটেজে বাবলু কুরেশিকে দেখা যায়নি। বাবুল এবং নাদিম একই লোক নন। বাবলু যুক্ত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy