অনুব্রত মণ্ডল।
ভার্চুয়াল শুনানি চলাকালীন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের চেহারা দেখে তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করলেন আসানসোলের সিবিআই আদালতের বিচারক। অনুব্রত কেন ‘রোগা’ হয়ে গিয়েছেন, তা জানতে চান বিচারক। বৃহস্পতিবারের ওই শুনানিতে অনুপস্থিত ছিলেন অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেন। তাঁরও খোঁজ নেন বিচারক।
বৃহস্পতিবার সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী অনুব্রতকে জিজ্ঞেস করেন, ‘‘সহগল কোথায়?’’ তার উত্তরে অনুব্রত বলেন, ‘‘ওর হাত ভেঙে গিয়েছে। এমআরআই করাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’’ এর পর বিচারক বলেন, ‘‘আপনি তো অনেকটাই রোগা হয়ে গিয়েছেন দেখছি!’’ উত্তরে অনুব্রত বলেন, ‘‘হ্যাঁ সাহেব। শরীরে রোগগুলি তো সবই রয়েছে, তাই। ওষুধপত্র সব চলছে।’’
এর পর অনুব্রত বিচারককে বলেন, ‘‘শুনছি কেসটা দিল্লি চলে যাবে! আমরা দিল্লি যাব কেন? আমরা বাংলার মানুষ। আমাদের বাড়ি বাংলায়। আমরা দিল্লি যাব কেন?’’
বিচারক পাল্টা বলেন, ‘‘দিল্লি আদালত বলেছে, এখন আপনাকে রিমুভ করা যাবে না। তাই এখন ওখানেই থাকতে হবে।’’ বিচারক আরও জানান যে, মামলা স্থানান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। আগামী ১৯ অগস্ট তার শুনানি রয়েছে। বিচারক অনুব্রতের উদ্দেশে বলেন,‘‘আপনার উকিলকে বলুন আবেদন করতে। আমি দেখব। কিন্তু আইনমাফিক যদি মামলা স্থানান্তর হয়, তা হলে তা আমাকে মানতে হবে।’’
তখন অনুব্রত বলেন, ‘‘তা হলে আমি হাই কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে যাব। সেই দরজা তো আমাদের জন্য খোলা আছে।’’ বিচারক পাল্টা বলেন, ‘‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই খোলা আছে। আপনারা সেখানেও আবেদন জানাতে পারেন।’’
অনুব্রত তাঁর একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার আবেদন করেন। তাঁর যুক্তি, কর্মচারীদের বেতন এবং বোনাস দিতে ওই অ্যাকাউন্ট খোলা প্রয়োজন। এ নিয়ে বিচারক বলেন, ‘‘আপনার উকিল তো এই বিষয়ে কোনও আবেদন করেননি। ওঁকে আবেদন করতে বলুন। তা হলে আমি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’’ আগামী ১২ সেপ্টেম্বর ওই মামলার পরবর্তী শুনানি। এর আগে গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রতের শুনানি ছিল গত ৩০ জুন এবং ১৪ জুলাই। কিন্তু নেটওয়ার্ক সমস্যা থাকায় সেই শুনানি সম্ভব হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy