বিসিসিএল কলোনিতে। নিজস্ব চিত্র।
পরপর প্রায় দশটি আবাসনে দরজার তালা ভেঙে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বরাকরের বিসিসিএল আবাসন কলোনিতে। রবিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সময় মতো পুলিশ না আসার অভিযোগ করে বাসিন্দাদের একাংশ ঘণ্টাখানেক রাস্তা অবরোধও করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতির সামাল দেয়।
বরাকরের ডিসেরগড়-পুরুলিয়া রোডের পাশেই রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত কয়লা উত্তোলক সংস্থা বিসিসিএল-এর কর্মী আবাসন কলোনি। প্রায় দেড়শোটি আবাসন আছে সেখানে। এলাকাবাসী জানান, রবিবার সকালে তাঁরা দেখেন, কলোনির নানা জায়গায় থাকা কয়েকটি আবাসনের দরজা ভাঙা। আবাসনগুলি তালাবন্ধ অবস্থায় ছিল। আবাসিকদের মুখে-মুখে এ কথা জানাজানি হয়। যে আবাসনগুলিতে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে সেগুলির গৃহকর্তাদের খবর পাঠান পড়শিরা। সকাল ৭টায় খবর পেয়ে নিজের আবাসনে চলে আসেন দীপক মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম। এসে দেখি, সব লুট হয়ে গিয়েছে। থানায় অভিযোগ করেছি।’’ দীবাকর মুণ্ডা নামে অন্য এক বাসিন্দারও দাবি, ‘‘মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম। খবর পেয়ে বাড়ি ফিরে দেখি আলমারি ভেঙে গয়না যা ছিল, সব লুট হয়ে গিয়েছে।’’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাসিন্দাদের অভিযোগ, সকালেই থানায় ফোন করে গোটা বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ পরেও পুলিশ আসেনি, এই অভিযোগে সকাল ৮টা নাগাদ রাস্তা অবরোধ শুরু করেন বাসিন্দাদের একাংশ। স্থানীয় বাসিন্দা সুব্রত ভাদুড়ির অভিযোগ, ‘‘পুলিশকে সকালেই খবর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ দেরি করে আসার জন্য পথ অবরোধ
করেন বাসিন্দারা।’’
ঘটনাচক্রে, কয়েক দশকের পুরনো এই কলোনিতে এর আগে কখনই চুরির ঘটনা ঘটেনি বলে এলাকাবাসী জানান। দেরি করে ঘটনাস্থলে আসার কথা মানেনি পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, খবর পেয়েই এলাকায় গিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়। বেগুনিয়া ও ডুবুরডিহি চেকপোস্ট ‘সিল’ করা হয়েছে। পাশাপাশি, ডিসেরগড়ে নাকা তল্লাশি চলছে। এই কলোনির এক পাশে রয়েছে ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বেগুনিয়া চেকপোস্ট। অন্য দিকে রয়েছে ডিসেরগড় হয়ে পুরুলিয়া যাওয়ার রাস্তা। ফলে, ‘দুষ্কৃতীরা’ যাতে সীমানা পেরিয়ে কোনও ভাবেই গা ঢাকা না দিতে পারে, সে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy