E-Paper

বিএলএ-দের ফর্ম সংগ্রহে দ্বিধায় অনেকে

এক সময়ে বিএলএ নিয়োগ নিয়ে রাজনৈতিক দলের মধ্যে অনীহা দেখা দিয়েছিল। তা কাটাতে এই বন্দোবস্ত বলে অনুমান একাধিক মহলের।

সৌমেন দত্ত

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৫ ০৭:০২
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

এনুমারেশন ফর্ম (গণনাপত্র) বিলি নিয়ে বিএলওদের সঙ্গে রাজনৈতিক যোগের অভিযোগ উঠেছে। বাড়ি বাড়ি না ঘুরে এক জায়গা থেকে গণনাপত্র বিলি কিংবা শাসকদলের বিএলএদের (বুথ লেভেল এজেন্ট) হাতে গণনাপত্র তুলে দেওয়ার নালিশও রয়েছে। এরপরে পূরণ করা ফর্ম সংগ্রহ শুরু হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সে কাজ বিএলওদেরই করতে হবে। তবে, কমিশন বিএলএদের ফর্ম সংগ্রহ করার সুযোগ দিচ্ছে। সেই ফর্ম এনে বিএলওকে দিতে হবে। নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশনে তা স্ক্যান করে আপলোড করবেন তাঁরা।

সূত্রের খবর, বিএলএ-দের ফর্ম সংগ্রহের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে কমিশন। তাঁরা ভোটারদের কাছ থেকে দিনে ৫০টির বেশি ফর্ম সংগ্রহ করতে পারবেন না। ওই ফর্ম পাওয়ার পরে বিএলও ২০০২ ও ২০২৫ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখবেন। ফর্ম পূরণ ঠিকমতো হয়েছে কি না দেখার পরেই নির্দিষ্ট অ্যাপে আপলোড করা হবে।

এক সময়ে বিএলএ নিয়োগ নিয়ে রাজনৈতিক দলের মধ্যে অনীহা দেখা দিয়েছিল। তা কাটাতে এই বন্দোবস্ত বলে অনুমান একাধিক মহলের। আবার কারও মতে, ফর্ম দেওয়া-নেওয়ার কাজ নির্দিষ্ট সময়ে সম্পন্ন করতে, বিএলও-দের ‘চাপ’ কমাতে এই আয়োজন। তবে ফর্ম সংগ্রহে ভুল-ত্রুটি হলে, দায় তো তাঁদের উপরই বর্তাবে, ভেবে দ্বিধাগ্রস্ত বিএলওদের একাংশ। জেলার একাধিক বিএলও-র কথায়, ‘‘গণনাপত্র বিলি নিয়ে এত বিভ্রান্তি, এত চাপ এসেছে, তাতে মাথা ঠিক রাখা যাচ্ছিল না। এখন বিএলএর ভরসায় ফর্ম সংগ্রহ করতে গিয়ে একটা ফর্মও হারিয়ে গেলে তার দায় তো আমাদের উপরেই বর্তাবে।” আবার কোনও ফর্মে নামের বানান ভুল হলেও বিএলওকেই ভোটারের কাছে ছুটতে হবে।

জেলায় ৪৪২১টি বুথ রয়েছে। ১৬টি বিধানসভায় বুথের সংখ্যা ৪৫০৬টি। মঙ্গলবারের মধ্যে ৯৬%য়ের বেশি ভোটারের কাছে ফর্ম পৌঁছে দিয়েছেন বিএলওরা। পূরণ করা, ফর্ম জমা নেওয়া, আপলোডের পরে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। অভিযোগ, শুনানি পর্ব মিটিয়ে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। প্রশাসন সূত্রে খবর, খসড়া তালিকায় নাম না থাকলে নির্দিষ্ট ভোটারের কাছে নোটিস পাঠানো হবে। ইআরও তাঁদের শুনানিতে ডাকবেন।

রাজনৈতিক দলগুলি চাইছে, কোনও বিভ্রান্তি ছাড়াই ফর্ম জমা নেওয়ার কাজ স্বচ্ছ ভাবে হোক। তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান অপূর্ব চৌধুরী বলেন, “দলের বিএলএদের বলা হয়েছে, বিএলওদের সহযোগিতা করতে। ফর্ম পূরণে ভোটারদের সাহায্য করতে হবে। একজন বৈধ ভোটারও যেন তালিকা থেকে বাদ না যান।” বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সন্দীপ নন্দী বলেন, ‘‘কমিশনের উপরে আমাদের আস্থা রয়েছে। ভোটার তালিকার কাজ সুষ্ঠু ভাবে হোক,এটাই চাই।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

BLA

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy