হাসপাতালে অনুষ্ঠানে। নিজস্ব চিত্র
করোনা প্রতিষেধক হিসেবে কাজে লাগছে তুলসির রস, রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের এমন মন্তব্যে তৈরি হল বিতর্ক। রবিবার কালনা মহকুমা হাসপাতালের পড়ে থাকা জমিতে তুলসি গাছ লাগানোর অনুষ্ঠানে এসে মন্ত্রী স্বপনবাবু বলেন, ‘‘আমি যতটুকু জেনেছি, করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে, প্রতিষেধক হিসাবে তুলসির রস কিন্তু কাজে লাগছে।’’ কেন তিনি এমন মন্তব্য করলেন, সে নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেক চিকিৎসক।
কালনা মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতাল চত্বরে পড়ে রয়েছে প্রায় এক একর জমি। সেখানে ভেষজ উদ্যান তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তার প্রথম ধাপে রবিবার লাগানো হয় ১২০টি তুলসি গাছ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে জেলা প্রকৃতি এবং পশুপ্রেমী সংস্থার তরফে প্রথমে হাসপাতালে খালি জায়গায় ভেষজ গাছ লাগানোর পরিকল্পনার কথা জানানো হয়। তাদের সম্মতি দেওয়া হয়। এ দিন বেশ কয়েকটি তুলসি গাছ পোঁতেন রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
মন্ত্রী বলেন, ‘‘সুস্থ জীবন গড়তে তুলসির রস দুর্দান্ত কাজ করে। তুলসি গাছ থেকে দূষণমুক্ত হাওয়া হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পৌঁছলে রোগীদের ভাল লাগবে।’’ এর পরেই করোনা-প্রতিষেধক হিসেবে তুলসির রস কাজে লাগছে, দাবি করেন তিনি।
মন্ত্রীর মন্তব্য শুনে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা চিকিৎসক সুভাষ সরকারের প্রতিক্রিয়া, ‘‘করোনার প্রতিষেধক হিসেবে নয়, তুলসি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। স্বপনবাবুর জানা উচিত, অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী।’’
বর্ধমানের চিকিৎসক শুভময় চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তুলসি করোনার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করছে, এর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি এখনও নেই। কেউ এমন কথা বলে থাকলে কী কারণে বলেছেন বুঝতে পারছি না।’’ কালনা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাইও বলেন, ‘‘করোনার প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার হয়নি। তবে এটা ঠিক, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তুলসি সাহায্য করে।’’
হাসপাতালের সুপার জানান, হাসপাতালে পড়ে থাকা সমস্ত জমিতেই ধীরে-ধীরে গড়ে উঠবে ভেষজ উদ্যান। মন্ত্রী স্বপনবাবুও জানান, কালমেঘ, বাসক-সহ নানা ভেষজ গাছ লাগানো হবে হাসপাতাল চত্বরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy