২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ থাকার পর পুকুর থেকে উদ্ধার হল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের দেহ। রবিবার পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের ইটলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিলেন শুভেন্দু মালিক (৪২) নামে ওই পঞ্চায়েত সদস্য। রবিবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেশ খানিকটা দূরে ছানাপট্টি মোড়ের কাছে রাস্তার ধারের একটি কলাবাগানে ঘেরা পুকুর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুকুরের পাশেই পড়েছিল শুভেন্দুর মোটরবাইকটিও। পায়ের চটিজোড়াও গুছিয়ে রাখা ছিল পুকুরের পাড়ে।
আরও পড়ুন:
শুভেন্দু তৃণমূল পরিচালিত পাড়াতল ২ নম্বর পঞ্চায়েতের পারুল এলাকার ১১৪ নম্বর বুথের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। এই পঞ্চায়েতেরই অন্তর্গত বাহাদুরপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। শুভেন্দু ধান কেনাবেচা করতেন। একমাত্র মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক ছেলে। এ হেন যুবকের দেহ উদ্ধারকে ঘিরে রবিবার দুপুরে চাঞ্চল্য ছড়ায় ইটলায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় জামালপুর থানার পুলিশ। পুকুর থেকে মৃতদেহটি তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। বাইকটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়।
তবে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের এই রহস্যমৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। বিষয়টি খুন নাকি দুর্ঘটনা— তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পরিবারের কথায়, শনিবার দুপুরে বাইকে চেপে বাড়ি থেকে বের হন শুভেন্দু। তার পর দুপুর গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও আর ফেরেননি। বহু বার ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। শেষমেশ রবিবার বেলার দিকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে খুন বলেই দাবি করছে পরিবার। এ বিষয়ে ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মেহমুদ খানও বলেন, “কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল, কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। সবটাই রহস্যে মোড়া। পুলিশের কাছে যথাযথ তদন্তের আবেদন জানাচ্ছি।’’