E-Paper

প্রতারণায় যোগ বাংলা, জামতাড়ার

পুলিশ জানায়, ২১ জুন সুকুমার মুখোপাধ্যায় নামে রূপনারায়ণপুরের এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন যে, তাঁর স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ টাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

সুশান্ত বণিক

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:২০
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

সাইবার প্রতারণার অভিযোগের তদন্তে নেমে তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশের সাইবার সেল।

ধৃতেরা পশ্চিম বর্ধমান ও বাঁকুড়ার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, ধৃতদের সঙ্গে সাইবার প্রতারণার জন্য কুখ্যাত ঝাড়খণ্ডের ‘জামতাড়া-গ্যাংয়ের’ সদস্যেরাও জড়িত। ধৃতেরা চঞ্চল পাল, গণেশ মণ্ডল ও অনিল শর্মা। তাঁদের যথাক্রমে ২৮ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তেরা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। শুক্রবার বিষয়টি পুলিশের তরফে সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে জানানো হয়।

পুলিশ জানায়, ২১ জুন সুকুমার মুখোপাধ্যায় নামে রূপনারায়ণপুরের এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন যে, তাঁর স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ টাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তিনি জানান, স্ত্রীর মোবাইলে ফোন করে এক জন নিজেকে ব্যাঙ্ক আধিকারিক পরিচয় দেন। বলা হয়, ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ডের মাধ্যমে টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর জন্য মোবাইলে ‘ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড’ (ওটিপি) পাঠানো হবে। যিনি ফোন করেছেন, তাঁকে ওটিপি দিয়ে দিলেই সুবিধাটি কার্যকর হবে। এর পরে বেশ কয়েক বার সুকুমারের স্ত্রীর মোবাইলে ওটিপি আসে। তিনি প্রতি বারই ওটিপি জানিয়ে দেন। তার পরেই দেখা যায়, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে।

তদন্তে নেমে যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে টাকা স্থানান্তর করা হয়েছিল, সেগুলি বন্ধ করে দেয় পুলিশ। প্রায় ছ’লক্ষ টাকা উদ্ধারও করা হয়। ‘প্রতারক’ যে নম্বর থেকে ফোন করেছিলেন, সেটির সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, সিমকার্ডটি রানিগঞ্জের সাহেবগঞ্জ থেকে বিক্রি করা হয়েছিল। সেই সূত্রে তল্লাশি চালিয়ে চঞ্চলকে গ্রেফতার করা হয়।

তদন্তকারীদের দাবি, চঞ্চল বাঁকুড়ার মেজিয়ার বাসিন্দা গণেশকে সিমকার্ডটি বিক্রি করেছিলেন। গণেশকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, সিমকার্ডটি গণেশ জামতাড়া-গ্যাংয়ের সদস্যদের কাছে পৌঁছে দেন। ওই সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত এটিএম কার্ড একটি বেসরকারি মোবাইল সংস্থার আসানসোলের কর্মী অনিলের কাছে পৌঁছে দেন গণেশ।

পুলিশের দাবি, সুকুমারের স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে ওটিপি ব্যবহার করে নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর করেন জামতাড়া গ্যাংয়ের সদস্যেরা। পরে প্রতারকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁদের এটিএম কার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলেন অনিল।

পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (সাইবার) কুলদীপ সেনাওয়ানে বলেন, “এই ঘটনায় জড়িত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Asansol

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy