চপ্পল খুঁজে না পাওয়া নিয়ে বিবাদ বেধেছিল প্রতিবেশীর সঙ্গে। তার জেরে মারধরে আহত হয়ে সপ্তাহখানেক চিকিৎসাধীন থাকার পরে মৃত্যু হল এক যুবকের।
দুর্গাপুরের সগড়ভাঙার হুসুকডাঙায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন বছর তিরিশের মিঠু শেখ। সঙ্গে থাকতেন স্ত্রী রাবিয়া বিবি ও দুই মেয়ে খুশি ও টুসি। তাঁদের বাড়ি মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে। দুর্গাপুরে রাজমিস্ত্রির সহকারীর কাজ করতেন মিঠু। তাঁর শ্বশুরবাড়ি দুর্গাপুরেই। স্ত্রী পরিচারিকার কাজ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিঠুর পাশের বাড়িতেই থাকে রাজু শেখ। এলাকার একটি স্কুলের গাড়ি চালায় সে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত রবিবার সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ বাড়ি ফেরার পরে মিঠু নিজের চপ্পল খুঁজে পাচ্ছিলেন না। সে নিয়ে রাজুর সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। রাবিয়া বিবি অভিযোগ করেন, রাজু তাঁর স্বামীকে ঘরে টেনে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে মিঠুকে উদ্ধার করেন। শ্বশুর পিন্টু শেখ ও শাশুড়ি সুফিয়া বিবি মিঠুকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শনিবার সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তাঁর মাথায় আঘাত ছিল।
শনিবার এলাকায় গিয়ে রাজু বা তার পরিবারের কারও দেখা মেলেনি। প্রতিবেশীরা জানান, তাঁরা কোথায় তা তাঁদের জানা নেই। মিঠুর দেহ বর্ধমান থেকে জঙ্গিপুরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান পরিবারের লোকজন। রাবিয়া বিবির অভিযোগ, ‘‘চার-পাঁচ জন মিলে আমার স্বামীকে মারধর করেছিল। পুলিশকে জানিয়েছি।’’ পুলিশ অবশ্য জানায়, শনিবার রাত পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ মেলেনি। তবে অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy