Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
HLG Hospital

নাম তালিকায়, হাসপাতাল কাজে আসে না

এ দিকে, আসানসোল জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা পেলেও তা অনেক ক্ষেত্রেই পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করেছেন রোগীর পরিজনেরা।

সেই তালিকা

সেই তালিকা

সুশান্ত বণিক
আসানসোল শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২০ ০০:৫০
Share: Save:

সরকারি ওয়েবসাইটে এখনও নাম রয়েছে। অথচ, বহুদিন আগেই রোগী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আসানসোলের ‘এইচএলজি’ কোভিড হাসপাতালে। এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন আসানসোল মহকুমার করোনা-আক্রান্তেরা। চিকিৎসা পেতে তাঁদের হয় ছুটতে হচ্ছে দুর্গাপুরে কোভিড-হাসপাতালে বা কলকাতায়।

এ দিকে, আসানসোল জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা পেলেও তা অনেক ক্ষেত্রেই পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করেছেন রোগীর পরিজনেরা। এই অবস্থায় জেলা সদরে একটি পূর্ণাঙ্গ কোভিড হাসপাতাল তৈরির দাবি তুলেছেন চিকিৎসকেরা।

কোভিড সংক্রান্ত তথ্য যাচাইয়ের জন্য রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইট খুললেই দেখা যাচ্ছে আসানসোলের সেন-র‌্যালে রোডের ‘এইচএলজি’ বেসরকারি হাসপাতালটিকে কোভিড- হাসপাতাল বলে দেখানো হয়েছে। শয্যা সংখ্যা রয়েছে ১০০টি। কিন্তু বাস্তবে ছবিটা অন্য।

সম্প্রতি নিয়ামতপুরের এক কোভিড-আক্রান্ত রোগীকে নিয়ে তাঁর পরিজনেরা ওই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান। কিন্তু সেখান থেকে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ওই রোগীকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর পরেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ওই হাসপাতালের জনসংযোগ দফতরের আধিকারিক শুভব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখানে এখন কোভিড-রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না।’’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, কোনও দিনই এখানে কোভিড রোগীদের জন্য ১০০টি শয্যা রাখা হয়নি। খুব বেশি হলে ১৪টি শয্যা রাখা হয়েছিল।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দেড় মাস আগে এই হাসপাতালে কোভিড-রোগী ভর্তি বন্ধ করা হয়েছে। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে এখনও সরকারি ওয়েবসাইটে কোভিড হাসপাতাল রূপে ‘এইচএলজি’র নাম দেখানো হচ্ছে কেন। এ নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য না করেননি জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি। তিনি শুধু বলেন, ‘‘এইচএলজি হাসপাতালে এখন আর করোনা রোগী পাঠানো হচ্ছে না। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। দরকারে দুর্গাপুরে পাঠানো হচ্ছে।’’

পরিস্থিতির প্রতিবাদ করেছেন শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক অরুণাভ সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘‘আসানসোলের কোভিড হাসপাতালটি কেন বন্ধ করা হল সেটাই বোধগম্য হচ্ছে না। জেলা সদরে করোনা হাসপাতাল নেই সেটাই হাস্যকর। অবিলম্বে একটি কোভিড হাসপাতাল খোলার দাবি জানাচ্ছি।’’

আসানসোল জেলা হাসপাতাল সুপার নিখিলচন্দ্র দাস জানিয়েছেন, মহকুমার বাসিন্দা কারও শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তাঁকে তাঁদেরই অধীনে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হচ্ছে। হাসপাতালে তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি হাতের মধ্যে থাকলে জেলা হাসপাতালেই তাঁর চিকিৎসা হচ্ছে। অবস্থা বুঝে তাঁকে দুর্গাপুরে কোভিড-হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

কেন এই হাসপাতাল বন্ধ, এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস হালদার কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২

• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১

• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

HLG Hospital Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE